Advertisement

Krishnanagar Woman FB Post: ফেসবুকে 'কেউ দায়ী নয়', কৃষ্ণনগরে তরুণী 'খুন-ধর্ষণে' রহস্য

পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার প্রেমিকের সঙ্গে বেরিয়েছিল ওই তরুণী। তার সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। তারপর আর বাড়ি ফেরেনি। সকালে দেহটি শনাক্ত করে পরিবারের লোকেরা। তাদের অভিযোগ, প্রেমিক ও তার সঙ্গীরা মিলে গণধর্ষণ করে খুন করেছে তরুণীকে। সে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ত।

কৃষ্ণনগরে তরুণী মৃত্যু-রহস্য
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 16 Oct 2024,
  • अपडेटेड 6:01 PM IST
  • কৃষ্ণনগরে অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার।
  • প্রেমিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ।

'আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়'। কৃষ্ণনগরে উদ্ধার হাওয়া নির্যাতিতার ফেসবুক স্টেটাসে এটাই লেখা। বুধবার সাত সকালে জেলা পুলিশ সুপারের অফিসের অনতিদূরে উদ্ধার হয়েছে অর্ধদগ্ধ ও বিবস্ত্র তরুণীর দেহ। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, ফেসবুকে 'সুইসাইড নোট'টি কার লেখা?     

পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার প্রেমিকের সঙ্গে বেরিয়েছিল ওই তরুণী। তার সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। তারপর আর বাড়ি ফেরেনি। সকালে দেহটি শনাক্ত করে পরিবারের লোকেরা। তাদের অভিযোগ, প্রেমিক ও তার সঙ্গীরা মিলে গণধর্ষণ করে খুন করেছে তরুণীকে। সে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ত। এর মধ্যেই তরুণীর ফেসবুক স্টেটাসে লেখা, 'আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আমি নিজেই দায়ী। তোমরা সবাই ভালো থেকো।' সেই সঙ্গে একটি হৃদয়ের ইমোজি।

প্রশ্ন উঠছে এই স্টেটাস কে লিখেছে? ওই তরুণী নিজে না তার প্রেমিক? কারণ, তরুণীর যে দেহ উদ্ধার হয়েছে, তা আত্মহত্যার বলে মনে হচ্ছে না। দেহটি ছিল অর্ধনগ্ন। সেই সঙ্গে মুখ পোড়ানো। কেউ কেন পোশাক খুলে আত্মহত্যা করতে যাবে? কীভাবেই বা মুখ পুড়ল? স্বাভাবিকভাবেই রহস্য জোরালো হচ্ছে। 

মৃতা দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। মৃতার মা জানান,'সাড়ে সাতটা নাগাদ ছেলেটার সঙ্গে পিৎজা খেতে বেরিয়েছিল। বাড়িতে আমায় জানিয়ে বেরিয়েছিল। তারপর আর ফোন করেনি। আমি ছেলেটাকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করি। একবার বলছে ও নাকি ঘুমোচ্ছে। একবার আমায় গালিগালাজ করেছে। সারারাত গোটা পরিবার মিলে ওকে খোঁজাখুঁজি করি। কিন্তু মেয়েকে কোথাও পাইনি। আমি জোর করে ছেলেটাকে থানায় নিয়ে এসেছি'। প্রথমে সম্পর্ক নিয়ে আপত্তি থাকলেও পরে তা মিটিয়ে নিয়েছিলেন বলেও জানান মৃতার মা। তাঁর দাবি, দুজনের রেজিস্ট্রি হওয়ার কথা ছিল। পুজোর সময়ও বেরিয়েছিল ওই ছেলেটির সঙ্গে।

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement