পণের জন্য নতুন বউকে শেষ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার। মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে বাড়ির অমতেই পালিয়ে বিয়ে করেছিল মেয়েটি। বিয়ের পর থেকেই নাকি নতুন বউয়ের উপর পণের জন্য চাপ দেওয়া শুরু হয়। একইসঙ্গে চলতে থাকে শারীরিক নিগ্রহ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কুলতলি থানা এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, বকুলতলা থানা এলাকার বাসিন্দা সুরাইয়া মোল্লার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় কুলতলির বাসিন্দা ইসরাফিল পিয়াদার। ইসরাফিলের বাড়ি কুলতুলির পূর্ব রাধাবল্লভপুর এলাকায়। অভিযোগ, সুরাইয়াকে এক মাস আগে কিডন্যাপ করে নিয়ে যায় ইসরাফিল।
সুরাইয়ার বাড়ির লোকের দাবি, তাঁরা মেয়ের খোঁজ শুরু করলে জানতে পারেন ইসরাফিল ও সুরাইয়া বিয়ে করেছে। মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ না থাকলেও লোকমুখে তাঁরা মেয়ের উপর অত্যাচারের কথা শোনেন। বাপের বাড়ি থেকে ২ লাখ টাকা নেওয়ার জন্য তার উপর চাপ দেওয়া হত ও অত্যাচার করা হত বলে অভিযোগ। সোমবার, ২৫ নভেম্বর এক ব্যক্তি মেয়ের বাপেরবাড়িতে ফোন করে খবর দেয় সুরাইয়া আর নেই। এই খবর পেয়ে প্রথমে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি ও পরে কুলতলি ব্লক হাসপাতালে যান পরিবারের সদস্যরা। মেয়েটির পরিবারের দাবি, সুরাইয়াকে চক্রান্ত রে শেষ করা হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। বারুইপুর এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস জানান পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
সংবাদদাতাঃ প্রসেনজিৎ সাহা