জামাইষষ্ঠীর দিনই এল জামাইয়ের মৃত্যুর খবর! কুয়েতে অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে বাংলার এক বাসিন্দারও। তাঁর নাম দ্বারিকেশ পট্টনায়েক। বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন ২ ব্লকের তুরকাগড়ে। আদি বাড়ি দাঁতনে হলেও দ্বারিকেশের পরিবার এখন থাকে মেদিনীপুর শহরের শরৎপল্লিতে। বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী অন্তরা ও এক মেয়ে ঐশী। ঐশী একাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
মৃতের পরিবার জানিয়েছে, প্রায় ২০ বছর ধরে কুয়েতে একটি সংস্থায় কাজ করতেন দ্বারিকেশ। তার আগে মুম্বইয়ে একটি সংস্থায় কাজ করতেন। অগ্নিকাণ্ডে ঝলসে যাওয়া ওই বহুতলেই থাকতেন তিনি। ঘটনার খবর পেয়ে বুধবার ফোনে ওই কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করেন পরিজনরা। তাঁরা জানতে পারেন, দ্বারিকেশ গুরুতর অসুস্থ। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁর মৃত্যুসংবাদ আসে।
দ্বারিকেশের শ্যালক সায়ন্তন পট্টনায়েক জানান,'বৃহস্পতিবার ওই কোম্পানির তরফে জানানো হয়েছে, জামাইবাবু মারা গিয়েছেন'। জামাইষষ্ঠীর দিনই এল এই দুঃসংবাদ। সায়ন্তনের বাড়িতে আরও এক জামাই এসেছেন জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে ৷ দ্বারিকেশের মৃত্যুর খবর শুনে সকলেই শোকগ্রস্ত ৷ আর এক জামাই বলেন, 'বুধবার জামাইষষ্ঠীর সন্ধ্যাতেই ওঁর দুর্ঘটনার খবর পাই'।
পুজোর সময় বাড়িতে ফেরার কথা ছিল দ্বারিকেশের। পুলিশ প্রশাসন পট্টনায়েক পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। জনপ্রতিনিধিরাও তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন৷ কোম্পানির তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে,কলকাতা বিমান বন্দরে ডাকা হবে পরিবারকে ৷
সায়ন্তন পট্টনায়েক বলেন,'প্রতিদিনই সকাল ৮ টার মধ্যে জামাইবাবু ফোন করেন বাড়িতে ৷ দিদির সঙ্গে কথা বলে কাজে যান ৷ কিন্তু বুধবার কথা হয়নি সকালে ৷ বিকেলেও ফোন না করাতে পরিবারের তরফে ফোন করা হয় ৷ তাঁকে তখন ফোনে পাওয়া যায়নি ৷ তাঁর বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, আবাসনে আগুন লেগেছে ৷ এরপর নিয়োগকারী সংস্থা জানায়, দ্বারিকেশ অসুস্থ ৷ পরে বৃহস্পতিবার জানানো হয়ে তিনি মারা গিয়েছেন ৷ কোম্পানীর সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রেখে চলেছি ৷ তাঁরা জানিয়েছে দেহ পাঠানো হবে কলকাতা বিমানবন্দরে ৷ তবে কখন আসবে জানতে পারছি না'। প্রশাসন শোকাহত পরিবারকে আশ্বাস দিয়েছে, দেহ ফেরাতে যথাবিহিত পদক্ষেপ করা হচ্ছে।