মধ্যমগ্রাম হাইস্কুলের সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। আর এই ঘটনায় প্রাণ হারালেন এক যুবক। মধ্যমগ্রাম স্টেশন সংলগ্ন মধ্যমগ্রাম হাইস্কুলের একেবারে গেটের সামনে থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর বোমা। স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার রাত একটা নাগাদ মধ্যমগ্রাম হাই স্কুলের গেটের সামনে জলকল্যাণ মাঠের উল্টো দিকে রবীন্দ্র মুক্ত মঞ্চের একটি বেঞ্চে বসেছিলেন ওই যুবক। সে সময়ে বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা চত্বর। অভিযোগ, ওই যুবকের হাতেই ধরা ছিল বোমা। সেই বোমা ফেটেই এই বিপত্তি। বোমা বিস্ফোরণের জেরে তাঁর দুই হাত ও শরীরের নানা জায়গায় আঘাত লাগে ওই ব্যক্তির। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মধ্যমগ্রামে বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযুক্ত যুবকের মৃত্যু হয় হাসপাতালেই। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটনায় কলকাতার হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু সোমবার সকালেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ওই যুবক উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে তাঁর নাম সচিদানন্দ মিশ্রা (২৫)। মধ্যমগ্রামে এই বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্তে নামছে NIA। জানা গিয়েছে, সোমবারই কী ভাবে বিস্ফোরণ তা খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে যাবে NIA। ঘটনাস্থলটি খতিয়ে দেখে নমুনা সংগ্রহ করবেন আধিকারিকরা।
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ। কীভাবে জনবহুল স্থানে এত বড় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল, তার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এলাকায় ব্যারিকেড করে ঘিরে ফেলা হয়। পুলিশের প্রাথমিক আশঙ্কা ছিল, ঘটনাস্থলে আরও বোমা থাকতে পারে। বারাসত পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অতীশ বিশ্বাস এবং বারাসতের এসডিপিও বিদ্যাগর অজিঙ্কা অনান্ত ঘটনাস্থলে পৌঁছন। খবর দেওয়া হয় বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডকে। বম্ব স্কোয়াড ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহজনক একটি ব্যাগ উদ্ধার করে। সূত্রের খবর, বিস্ফোরণস্থল থেকে একটি ব্যাগ ও চার্জার উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি সঙ্গে কোনও বোমা নিয়ে যাচ্ছিলেন মৃত ব্যক্তি? সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তির ব্য়াগ থেকে একটি ব্যাগ ও চার্জার উদ্ধার করেছে পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের ওই বাসিন্দা সমাঝরাতে মধ্যমগ্রামে বোমা নিয়ে কী করছিলেন তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। ওই এলাকায় তিনি কেন ছিলেন, কোথা থেকে এসেছিলেন, তাও তদন্ত করে জানার চেষ্টা চলছে। মৃত যুবকের আত্মীয়দেরও খুঁজে বার করার চেষ্টা চলছে।