মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শ্রী চৈতন্যদেবের উত্তরসূরি বলে দাবি করলে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী এই মন্তব্য করেন। যার পরই বিতর্ক শুরু হয়েছে বাংলার রাজনীতিতে। পূর্বস্থলিতে সরকারি উৎসবে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাত্য। ওই অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে ব্রাত্য বলেন, 'শ্রী চৈতন্যদেব সর্বধর্ম সমন্বয়ের কথা বলেছিলেন। সবাইকে সঙ্গে রাখার কথা বলেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলেন। তিনি কোনও বিভাজন বা ভেদাভেদের রাজনীতি করেন না। চৈতন্যদেবও করেননি। চৈতন্যের সার্থক উত্তরাধিকারী এই বাংলায় যদি কেউ থাকেন, তিনি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।'
এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মা সারদার তুলনা টেনেছিলেন উলুবেড়িয়ার তৃণমূল বিধায়ক তথা চিকিৎসক নির্মল মাজি। মা সারদার পুনর্জন্ম হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রূপে, এমনই দাবি করেন নির্মল মাজি। বাঁকুড়ায় প্রোগ্রেসিভ ফার্মাসিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সম্মেলনের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নির্মল মাজি দাবি করেন, মা সারদা নিজের পুনর্জন্মের কথা বলেন যা থেকেই অঙ্ক মিলে গেছে। তাই মা সারদাই কালীঘাটে পুনর্জন্ম নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ে। সেই অনুষ্ঠানে নির্মল মাজি প্রাণের চেয়েও প্রিয় দিদিকে মা সারদা বলার কারণও দর্শান।
বলেন, "মা সারদা মৃত্যুর কয়েকদিন আগে বিবেকানন্দর কয়েকজন সতীর্থ মহারাজকে বলেছিলেন, আমার মৃত্যুর পর আমি এত দিন পরে কালীঘাট মন্দিরে মনুষ্যরূপে জন্ম নেব। এরপর ত্যাগ, তিতিক্ষার মাধ্যমে সামাজিক, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে যাব। এখানেই অঙ্কটা মিলে যাচ্ছে। সময়, সংখ্যাতত্ত্ব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই মা সারদা। দুর্গাপুজোর অষ্টমী-নবমী তিথির সন্ধিক্ষণে তাঁর জন্ম। দিদিই মা সারদা, দিদিই সিস্টার নিবেদিতা, দিদিই ঘরের দুর্গা অষ্টমী-নবমীর সন্ধিক্ষণে যাঁর জন্ম হয় তিনিই যুগেযুগে তিনিই কিন্তু নবরূপে উন্মোচিত হন যুগে-যুগে, দেশে-দেশে, কালে-কালে।।”