পানীয় জলের কল অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। তাই স্কুলের মিড ডে মিলের রান্না হচ্ছে পুকুরের জলে। এমনকী রান্নার বাসনপত্র ধোয়া হচ্ছে পুকুরের জলে। ছাত্রছাত্রীরা তাদের খাবারের থালা ধুচ্ছে পুকুরের জলেই। এমনই চিত্র বারুইপুর ব্লকের কল্যানপুর পঞ্চায়েতের চাকারবেড়িয়া মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের।
ছাত্র-ছাত্রীদের পানীয় জল আনতে হচ্ছে রাস্তা পার হয়ে। প্রতি পদে পদে থাকছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। অভিযোগ, স্কুল থেকে কল একাধিকবার মেরামত করা হলেও কাজ হয়নি। হাজার ফুটের টিউবওয়েলের দাবিতে বারংবার প্রশাসনের সব স্তরে জানানো হলেও কাজ হয়নি বলেই দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষের।
এই স্কুলের ছাত্র ছাত্রী ৯৩ জন। তুলনায় শিক্ষক আছেন মাত্র ৪ জন। চাকারবেড়িয়া-ধোপাগাছি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঠিক পিছনেই এই মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্র। সবে গরম পড়তে শুরু করেছে। তার মধ্যেই অ্যাসবেস্টাসের ছাউনির ঘরে চলছে ক্লাস। পাশাপাশি পানীয় জলের কল খারাপ হয়ে পড়ে থাকায় ছাত্র-ছাত্রীরা অসুবিধায় পড়েছে। স্কুলের সামনেই পুকুর। সেই পুকুরের জলই ভরসা এখন ভরসা পড়ুয়াদের।
মিড ডে মিলের খাবারের থালা পুকুরে ধুতে লাইন পড়ে যায় ছাত্রছাত্রীদের। ছাত্র ছাত্রীরা এতে অসুস্থও হয়ে পড়তে পারে বলে দাবি অভিভাবকদের। বাড়ি থেকেই জলের বোতল আনতে হয়। নয়তো জল আনতে বড় রাস্তায় যেতে হয়, এমনই অভিজ্ঞতা পড়ুয়াদের। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ স্কুল চত্বরে, বাথরুমে নেই কোনও জলের ব্যবস্থা, পুকুরের জলেই চলছে মিড ডে মিলের খাবার রান্না।
সংবাদদাতা- প্রসেনজিৎ সাহা