ঋণের দায় আত্মহত্যার ঘটনা ফের বাংলায়। এবার ঘটনা নদিয়ার চাপড়া থানার অন্তর্গত গোখুরাপোতা গ্রামে। চড়া সুদে ঋণ নিয়ে শোধ করতে না পারায় আত্মঘাতী হলেন সিপিএমের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম মকবুল হোসেন।
গ্রামের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী হওয়ায় মানুষ মকবুল হোসেনকে সমীহ করত অনেকটা। কিন্তু সেই ব্যক্তির এমন পরিণতি হবে, তা যেন কেউ স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি। স্থানীয় সূত্রে খবর, মাস কতক আগে অল্প কিছু টাকা ঋণ নেন তিনি। স্থানীয়দের বক্তব্য, ‘গ্রামের মধ্যে এখন দুষ্কৃতীরাজ চলছে। এক দল যুবক চড়া সুদে ঋণ দিচ্ছে, যা শোধ করতে গিয়ে কালঘাম ছুটে যাচ্ছে গ্রামবাসীদের। উনিও হয়তো ৫০ হাজার টাকার কাছাকাছি ঋণ নিয়ে ছিলেন। যার পরিবর্তে সেই দুষ্কৃতী দল তার কাছ থেকে এক বিঘা জমি জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়।’
মকবুল হোসেনের পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, রবিবার রাতে মৃত মকবুলের বাড়িতে এসে তাকে তুলে নিয়ে যায় সেই দুষ্কৃতী দল। ইতিমধ্যে ঋণ শোধ করতে জমি খুইয়েছেন তিনি। রাতে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে চলে মারধর। আর তারপরেই সোমবার আত্মঘাতী হন মকবুল। সুইসাইড নোটে লিখে যান দুষ্কৃতীদের নামও।
সকাল পুলিশ মৃতের দেহ উদ্ধার করতে এলে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। বিচারের দাবিতে চলে প্রতিবাদ। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দেনার কাঁটায় বিদ্ধ হওয়ার একের পর এক ঘটনা উঠে আসছে। কখনও বিলাসিতা, কখনও আবার সাধারণ জীবনযাপনের খরচটুকুই সামলাতে না পেরে দেনায় ডুবে যাচ্ছেন অনেকেই। সম্প্রতি, কলকাতার ট্যাংরা-কাণ্ড এর একটা বড় উদাহরণ। ঋণের প্রবল চাপে আত্মঘাতী হয় গোটা পরিবার। মনে করা হচ্ছে দেনার দায়েই আড়াই বছরের পুত্রসন্তানকে সঙ্গে নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন হালতুর দম্পতিও। আর এবার এবার এমন কাণ্ড ঘটল নদিয়ার চাপড়া থানার অন্তর্গত গোখুরাপোতা গ্রামে ।