ফের গুলি চলল জগদ্দলে। এই ঘটনায় অর্জুন সিংকে তলব করল পুলিশ। বুধবার গভীর রাতে জগদ্দলে গুলি চলে। জগদ্দলের মেঘনা মোড় এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন এক যুবক। আক্রান্ত সাদ্দাম নামে ওই যুবককে প্রথমে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। আহত ব্যক্তি তৃণমূলকর্মী বলে জানা গেছে।
জগদ্দলে গুলিবিদ্ধ ওই তৃণমূল কর্মীকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বুধবার রাতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা ভাটপাড়া রাজ্য সাধারণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছান ভাটপাড়া পৌরসভার পৌরপিতা অভিমন্যু তিওয়ারি ও পৌর মাতা সুনিতা সিং। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জগদ্দল থানার পুলিশ। গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
জানা গেছে রাতের অন্ধকারে ভাটপাড়া পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে এই বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। এমনকি গুলি চালানোর অভিযোগও উঠেছে। সাদ্দাম নাসের নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয় বলেও জানা যায়। আহত ব্যক্তি সাদ্দাম ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুনিতা দেবীর ছেলে নমিত সিংয়ের ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে, তিনিও তৃণমূল করেন।
বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বাড়ির সামনে এই গুলি চলে। অর্জুন সিংয়ের অভিযোগ, প্রশাসন খুবই দুর্বল হয়ে গেছে। প্রশাসন যদি নিরপেক্ষ কাজ করত তবে এরকম ঘটনা ঘটত না। তার মতে মুসলিম সমাজের বোঝা উচিত- তারা আগুনে ঘি ঢালছে- কেউ তাদের বাঁচাতে আসবে না। জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামও বাঁচাতে আসবে না। গরিব মানুষকেই কষ্ট পোয়াতে হবে। ২০২১ সালেও সে পালিয়ে গিয়েছিল।
প্রশ্ন উঠছে তবে কি রামনবমীর অনুষ্ঠানকে বানচাল করতেই এই বোমাবাজি? অর্জুন সিং বলেন ভগবান রামকে কে বানচাল করবে? ভগবান রামকে কি কেউ বানচাল করতে পারে? তাঁর মত এটা পূর্বপরিকল্পিত। কিন্তু আমিও চুরি পরে ঘরে বসে থাকার পাত্র নই। আমার ঘরের সামনে যদি গুলি চলে তবে আমাকে তো বাইরে বের হতেই হবে।
এদিকে বুধবার রাতে তাঁর বাড়ির সামনে বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ অর্জুনের। আওয়াজ পেয়ে অর্জুন বেরিয়ে এলে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলে দাবি করেছেন প্রাক্তন সাংসদ। গুলি যদিও অর্জুনের গায়ে লাগেনি। এদিকে পালটা অভিযোগ উঠেছে, গুলি চালিয়েছেন অর্জুন সিং নিজে। এই ঘটনায় অর্জুনের বিরুদ্ধে রাতেই জগদ্দল থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। সকালে অর্জুনকে থানায় ডেকে পাঠায় পুলিশ। কিন্তু অর্জুনের সাফ কথা, তিনি থানায় যাবেন না। বৃহস্পতিবার সকালে অর্জুন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি কোনও ছিঁচকে চোর না পকেটমার? যে পুলিশ ডাকলেই থানায় যেতে হবে। আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে। যেখানে ঘটনা ঘটেছে সেখানে অন্তত ৩টে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। পুলিশ দেখুক কে গুলি চালিয়েছে। ওখানে তো সামনেই পুলিশকর্মীরা দাঁড়িয়ে ছিলেন।’
সংবাদদাতা- দীপক দেবনাথ