আরজি কর কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় চলছে রাজ্যে। আর এর মাঝেই তমলুকের একটি নার্সিংহোম থেকে উদ্ধার হল এক যুবকের দেব। জানা গিয়েছে, তমলুকের আনন্দলোক নার্সিংহোমের অপারেশন থিয়েটারের মধ্য থেকে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ মিলেছে।যা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা তমলুকে।
মৃত যুবকের নাম সাহেব দাস (২৭)। বাড়ি ময়নার বাকচায়। জানা যায় ওই যুবক আনন্দলোক নার্সিংহোমেই বিগত প্রায় ৭ বছর কর্মরত ছিলেন। ওটি স্টাফ হিসেবে তিনি কাজ করতেন। ঘটনার দিন কাজে আসেনি ওই যুবক। গভীর রাতে নার্সিং হোমে আসেন সাহেব।সরাসরি ঢুকে যান ওটি রুমে ,তারপর তাকে আর কেউ দেখেনি। রাত সাড়ে বারোটা পর্যন্ত ওটি চলে, তারপরেই ওটি রুমে প্রবেশ করে ওই যুবক। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে সম্ভবত ভোরের দিকেই ঘটনাটি ঘটিয়েছেন সাহেব দাস।বাড়ির লোক জানিয়েছে প্রেম ঘটিত সম্পর্কে বিচ্ছেদের কারণেই এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন সাহেব।
সকালে বাবা-মার সামনেই দেহ উদ্ধার হয়। যুবকের দেহ্ উদ্ধার করে তমলুক থানার পুলিশ, এবং দেহটি পোস্টমর্টেমের জন্য তমলুক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সাহেবের বাবা জানান, “আমি দোকানে কাজ করছিলাম। তারপর শুনি সাহেব নাকি গলায় ফাঁস লাগিয়েছে। এলাকার লোকজনই খবর দিল। এর থেকে বেশি কিছু জানি না।” নমিতা দাস নামে সাহেবের পরিবারের এক সদস্য বলেন, ‘‘সকাল ১১টা নাগাদ বাড়ির কাছে দোকানে কাজ করছিলাম। সেই সময় প্রতিবেশীরা খবর দেন সাহেবের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গিয়েছে। তখন থেকে বার বার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। কিছু সময় পরে পুলিশের তরফ থেকে আমাদের জানানো হয় যে সাহেব মারা গিয়েছে!’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পরিবারের একমাত্র ছেলে ও। কী কারণে ওর এমন পরিণতি হল, বুঝতে পারছি না।’’
হাসপাতালের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানকার এক মহিলাকর্মীর সঙ্গে প্রণয়ঘটিত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন সাহেব। কিন্তু ওই মহিলাকর্মীর পরিবার এই সম্পর্ক মানেনি। তাতে নাকি মানসিক আঘাত পান সাহেব। বেশ কিছু দিন ধরে তাঁকে অন্যমনস্ক দেখাত। সম্ভবত ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপড়েন থেকে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে জানিয়েছেন কয়েক জন। গলায় ফাঁস লাগিয়ে সাহেব দাস নিজেই আত্মঘাতী হয়েছে বলে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের দাবি। কী কারণে মৃত্যু খতিয়ে দেখছে তমলুক থানার পুলিশ।