পানাগড়ে গাড়ি ধাওয়া ও পথদুর্ঘটনায় যুবতীর মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়। সেই রাতে সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ি ধাওয়া করা হচ্ছিল, নাকি সুতন্দ্রাদের গাড়িই আরেকটি গাড়িকে ধাওয়া করছিল, তা নিয়ে রহস্যের মধ্যেই সুতন্দ্রার গাড়ির চালককে গ্রেফতার করল পুলিশ। রাজদেও শর্মা নামে গাড়ির চালককে জিজ্ঞাসাবাদে সন্দেহজনক তথ্য উঠে এসেছে।
বারবার বয়ান বদলেছে রাজদেও
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে পানাগড়ে গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় চন্দননগরের বাসিন্দা সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের (২৭)। প্রাথমিক ভাবে এই ঘটনায় ইভটিজিংয়ের অভিযোগ ওঠে। কয়েক জন মত্ত যুবক একটি সাদা গাড়ি করে এসে সুতন্দ্রাদের নীল গাড়িটিকে বার বার ধাক্কা দেয়। তার ফলেই উল্টে যায় সুতন্দ্রাদের গাড়ি। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তরুণীর। এমনই দাবি করেছিলেন সুতন্দ্রার গাড়িতে থাকা সহকর্মীরা ও গাড়িচালক রাজদেও শর্মা। কিন্তু দিন কয়েক পরেই নিজের বয়ান বদলায় রাজদেও। পুলিশকে বলে, ‘দিদির (সুতন্দ্রা) কথাতেই ১০০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি চালিয়েছিলাম।'
সুতন্দ্রাই বলেছিলেন, গাড়িটিকে ধাওয়া করতে
ঘটনায় পানাগড় পুলিশের দাবি ছিল, তরুণীর গাড়িই যুবকদের সাদা গাড়িটিকে তাড়া করছিল। একাধিক সিসিটিভির ফুটেজ প্রকাশ্যে আনে। এহেন পরিস্থিতি হঠাত্ রাজদেও বলে, 'ওই সাদা গাড়িটা আমাদের গাড়িতে প্রথমে ধাক্কা দিয়েছিল। তখন ম্যাডামই বলেছিল ওই গাড়িটার পিছনে ধাওয়া করতে। ন্যাশনাল হাইওয়ে ছেড়ে লোকাল রোডে নেমে যায় ওদের গাড়িটা। ম্যাডামের কথায় আমি লোকাল রোডে গাড়ি নামাই। গাড়ির গতিবেগ প্রায় ১০০ ছিল। আমি সামলেই নিতাম। কিন্তু ওই টয়লেটটায় ধাক্কা লেগে উল্টে গিয়েছিল আমাদের গাড়িটা।'
চন্দননগরে গ্রেফতার সেই চালক
আজ অর্থাত্ মঙ্গলবার সকালে রাজদেওকে গ্রেফতার করা হয় চন্দননগর থেকে। নিয়ে যাওয়া হয়েছে কাঁকসা থানায়। অন্যদিকে সাদা গাড়িটির চালক বাবলু যাদবকেও এর আগে গ্রেফতার করা হয়েছে।