আদালতের নির্দেশ অবমাননার অভিযোগে জেল হেফাজতে গেলেন খোদ পুলিশ আধিকারিক। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায়। ওই থানার আইসি আশিস মজুমদারকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় ঘাটাল এসিজেএম আদালতের বিচারক অমিত সরকার। পরে অবশ্য ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পান আশিসবাবু।
২০১৮ সালে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানার কিসমত কলোড়া এলাকার বাসিন্দা নিশিথ চক্রবর্তীকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে পাঁশকুড়ার রাজশহর গ্রামের বাসিন্দা শীতল মান্না সহ মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে। পরে অবশ্য মুক্তি পান নিশীথ। তদন্ত নেমে ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পাঁচজন আদালত থেকে জামিন পেয়েছিলেন। কিন্তু শীতল মান্না ফেরার ছিলেন। সম্প্রতি নিশীথ চক্রবর্তী আদালতে মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফেরার শীতল মান্নার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ঘাটাল আদালত। অভিযোগ ওঠে আদালতের নির্দেশ দিলেন পাঁশকুড়া থানার আইসি আশিস মজুমদার অভিযুক্ত শীতলকে গ্রেফতার করেননি। এছাড়াও অভিযুক্তের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কেও কোনও তথ্য আদালতে জমা দেননি। এরপরেই ঘাটাল আদালত পাঁশকুড়া থানার ওই আইসি কে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেয়।
আদালতের হাজির হওয়ার নির্দেশও মানেননি বলে আশিস মজুমদার। এরপরই ওই আইসির বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি হয়। বৃহস্পতিবার পাঁশকুড়া থানার আইসি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। বিচারক অমিত সরকার তাঁকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। দিনের শেষে অবশ্য ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পান আইসি।
এর আগে বিতর্কে নাম উঠেছে আশিস মজুমদারের। ২০২২ সালে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীয় অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তিনি। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। কারণ, পুলিশ কর্মী হয়ে তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠানে থাকতে পারেন না।