Advertisement

Suvendu Adhikari Humayun Kabir: হুমায়ুনের পাশে দাঁড়ালেন শুভেন্দু, নিশানায় সেই 'পিসি-ভাইপো', কিন্তু অন্য শমীকের গলায়

জন উন্নয়ন পার্টির প্রধান হুমায়ুন কবীরের পুত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর এমন পরিস্থিতিতে হুমায়ুনের পাশে দাঁড়ালেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই বিজেপি নেতা বলেন, 'পুলিশ বেআইনি কাজ করেছে... সারা রাজ্যের আধিকারিকদের ভুলভাবে ব্যবহার করে পিসি-ভাইপো'। অর্থাৎ নাম না করেই এই গ্রেফতারির পিছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরই দোষ চাপালেন তিনি।

শুভেন্দু অধিকারী ও হুমায়ুন কবীরশুভেন্দু অধিকারী ও হুমায়ুন কবীর
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 29 Dec 2025,
  • अपडेटेड 8:57 AM IST
  • জন উন্নয়ন পার্টির প্রধান হুমায়ুন কবীরের পুত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ
  • এমন পরিস্থিতিতে হুমায়ুনের পাশে দাঁড়ালেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী
  • এই বিজেপি নেতা বলেন, 'পুলিশ বেআইনি কাজ করেছে...'

জন উন্নয়ন পার্টির প্রধান হুমায়ুন কবীরের পুত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর এমন পরিস্থিতিতে হুমায়ুনের পাশে দাঁড়ালেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই বিজেপি নেতা বলেন, 'পুলিশ বেআইনি কাজ করেছে... সারা রাজ্যের আধিকারিকদের ভুলভাবে ব্যবহার করে পিসি-ভাইপো'। অর্থাৎ নাম না করেই এই গ্রেফতারির পিছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরই দোষ চাপালেন তিনি।

আসলে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কর্মরত এক পুলিশ কনস্টেবলকে মারধোর করার অভিযোগ রয়েছে হুমায়ুনের ছেলে রবিনের বিরুদ্ধে। তাই তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ বলে জানা যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছেন হুমায়ুন কবীর।

আর এই ইস্যুতে শুভেন্দু অধিকারীর আগেই মুখ খুলেছিলেন কংগ্রেস ও বিজেপির নেতারা। এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, 'পুলিশ কেন গেল ওখানে, কেনই বা পুলিশের বিরুদ্ধে কেস হল, আমরা কিছুই জানি না। সবকিছুই তদন্তের পর জানা যাবে।'

অবশ্য শুভেন্দুর থেকে সামান্য অন্য লাইনে কথা বলেছেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, 'হুমায়ুন কবীরকে তৈরি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এর মাধ্যমে তাঁকে আরও প্রমিনেন্ট করে তোলা হচ্ছে।'

যদিও শুভেন্দু কিন্তু এর উল্টো গেয়েছেন। তিনি মনে করেন, পুলিশ বেআইনিভাবে হুমায়ুনের ছেলেকে গ্রেফতার করেছে।

কী হয়েছিল?

যতদূর খবর, হুমায়ুনের কাছে তাঁর এক নিরাপত্তরক্ষী ছুটি চান। কিন্তু ছুটি দিতে চাননি হুমায়ুন। এরই মাঝে কথা কাটাকাটি শুরু হয়ে যায়। তখনই হুমায়ুনের পুত্রও সেখানে উপস্থিত হন। তারপর তিনি হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বলেই অভিযোগ। তারপর মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলে সেখানে পৌঁছে যায় বিরাট পুলিশ বাহিনী। তাঁরা হুমায়ুনের পুত্রকে থানায় নিয়ে যায়।

খবর পেয়ে থানায় পৌঁছে যান হুমায়ুন। সেখানে তাঁর সঙ্গে পুলিশের কথা হয়। আর এই ঘটনার পরই মুখ খুলেছেন রাজ্যের একাধিক বিরোধী দলের নেতারা। কেউ হুমায়ুনের পক্ষ নিয়েছেন। কেউ আবার এটা তৃণমূলের স্ট্র্যাটেজি বলেই উড়িয়ে দিচ্ছেন।

Advertisement

মাথায় রাখতে হবে, কিছুদিন ধরেই চর্চায় রয়েছে হুমায়ুন কবীর। প্রথমত বাবরি মসজিদ তৈরি তাঁকে খবরে নিয়ে আসে। তারপর তিনি আবার নিজের নতুন দল তৈরিও করেন। এমনকী করে দেন বিধানসভার প্রার্থী ঘোষণা। এখন তিনি খুব ব্যস্ত। আর এমন পরিস্থিতিতেই তাঁর পুত্রকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এখন দেখার এই জল কতদূর গড়ায়।

Read more!
Advertisement
Advertisement