মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে এসে পড়তে হল বিপদে। শ্মশানে দাহ করতে নিয়ে এসে শ্মশান কর্মীদের হাতেই ধরা পড়লো পরিবারের জালিয়াতি। তৎক্ষনাৎ মৃতদেহ রেখেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। ঘটনায় চাঞ্চল্য বনগাঁর ভূপেন্দ্রনাথ শেঠ স্মৃতি মহাশ্মশানে।
জানা যাচ্ছে ভূপেন্দ্রনাথ শেঠ স্মৃতি মহাশ্মশানে একটি মরদেহ নিয়ে আসেন কিছু মানুষ। মৃতদেহটি দাহ করার সময় সন্দেহ হয় শ্মশানের কর্মীদের। তারপরেই তাঁরা মৃতদেহটি যখন ভালো করে লক্ষ্য করেন, দেখা যায় গলায় দড়ির স্পষ্ট দাগ রয়েছে। অথচ ডাক্তারন সার্টিফিকেটে লেখা আছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। মৃতদেহ আটকে পরবর্তীতে বনগাঁ পুলিশ প্রশাসনকে খবর দেওয়া হয় শশ্মান কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে। পুলিশ এসে ওই মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।
মৃত ব্যক্তি ধ্রুব কুণ্ড (৬৫)। তাঁর ছেলে পলাশ কুন্ডু এই বিষয়ে জানান সকাল বেলায় যখন তিনি বাবার ঘরে যান তখন দেখেন মশারির দড়িতে পেঁচিয়ে খাটের পাশেই বাবা পড়ে রয়েছেন। তারপর তিনি বাবার সেই দঁড়ি খুলে বাইরে নিয়ে এসে জল দেন। কিন্তু কোনও শব্দ না পেয়ে তাঁদের এলাকারই এক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক সুরঞ্জন পালকে খবর দেওয়া হয়। তিনি এসে বলেন বাবার মৃত্যু হয়েছে। যদিও ছেলে পলাশ কতটা সত্য কথা বলছে তা নিয়ে সন্দেহ হওয়ায়,এই বিষয়ে ওই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা। সেই চিকিৎসক জানান তিনি যখন ওই মৃত ব্যক্তিকে দেখতে গিয়েছিলেন তাঁর গলায় কোনও দাগ দেখতে পাননি।
পরিবারের লোকজনকে চেপে ধরা হলে তারা জানান ডাক্তারবাবু আসেননি। তাঁরা ফোন করেছিলেন। তিনি সামান্য কিছুর টাকার বিনিময়ে তাঁদেরকে ডেথ সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন। গোট ঘটনা নিয়েই ধোঁয়াশা রয়েছে। মৃতদেহের ময়নাতদন্তের পর রহস্যের সমাধান তে পারে । গোটা ঘটনার তদন্তে বনগাঁ থানার পুলিশ।
সংবাদদাতা- দীপক দেবনাথ