বছরের প্রথম দিনেই দিঘায় হোটেল থেকে উদ্ধার হল এক পর্যটকের দেহ। হোটেলের রুম থেকে দেহ উদ্ধার হয় এক তরুণীর। জানা যাচ্ছে, আসানসোল থেকে এসেছিলেন প্রীতি কর (১৯) এবং তাঁর স্বামী প্রীতম ঠাকুর। দুজনে উঠেছিলেন নিউ দিঘার একটি হোটেলে। রাত আড়াইে নাগাদ হোটেলের একটি রুম থেকে ওই মহিলাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
ঘটনা জানা যায় পশ্চিম বর্ধমান হিরাপুর থানার বাসিন্দা প্রীতম ঠাকুর তার স্ত্রী প্রীতি কর কে নিয়ে উঠেছিলেন নিউ দিঘার একটি হোটেলে। রাত আড়াইটার সময় চিৎকার শুনে হোটেল কর্মীরা দেখেন এক মহিলা অচৈতন্য অবস্থায় হোটেলের খাটের উপর পড়ে রয়েছেন প্রীতি করকে তড়িঘড়ি করে দিঘা হাসপাতালে নিয়ে আসেন হোটেল কর্মীরা। হাসপাতাল নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তার গলায় ফাঁস দেওয়া ছিল বলে জানা গেছে।
এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মৃতার স্বামীকে দিঘা থানায় নিয়ে আসা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ছয় মাস আগে প্রীতি এবং প্রীতমের মধ্যে বিয়ে হয়। প্রীতমের একটি সেলুনের দোকান রয়েছে। ইতিমধ্যে ওই মহিলার বাপের বাড়িতে খবর পাঠানো হয়েছে।
সোমবার আসনসোলের হিরাপুরের প্রীতম ঠাকুর তাঁর স্ত্রী প্রীতি দিঘায় এসেছিলেন। নিউ দিঘায় হোটেল নেন তাঁরা। সূত্রের খবর, মঙ্গলবারই ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু থেকে যান। রাতেও স্বাভাবিক ছিলেন তাঁরা। আচরণে কোনও অস্বাভাবিক কিছু দেখেননি হোটেল কর্মীরা। পরে এক হোটেল কর্মী রুমে যান সাফাইয়ের জন্য। দরজা খোলাই ছিল। প্রীতির ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তিনি। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার সময় প্রীতম বাইরে ছিলেন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনওরকম ঝামেলা হওয়ায় এই ঘটনা কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।