পুরুলিয়া-হাওড়া মেমু প্যাসেঞ্জার ট্রেনের শনিবার সূচনা হয়েছে। হাওড়ার সাঁতরাগাছি থেকে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব পুরুলিয়া-হাওড়া ভায়া মসাগ্রাম মেমু প্যাসেঞ্জার ট্রেনের উদ্বোধন করেন। এবার এই ট্রেনের অফিশিয়াল টাইম টেবিল প্রকাশ করল পূর্ব রেল। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, ট্রেনটি সপ্তাহে ছয় দিন চলবে। এই ট্রেনের নিয়মিত যাত্রা শুরু হবে ৩০ জুন সোমবার থেকে। মসাগ্রাম স্টেশনে মিশে যাচ্ছে পূর্ব রেল এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেল। এই রুটে যাত্রা করার ফলে প্রায় ৩৫-৪০ কিলোমিটার পথ কমে যাবে হাওড়া ও পুরুলিয়ার মধ্যে।
পুরুলিয়া-হাওড়া মেমু প্যাসেঞ্জার ট্রেনের সময়সূচি
হাওড়া থেকে বিকেল ৪টে ১৫ মিনিটে ছাড়াবে। রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে পুরুলিয়া স্টেশনে পৌঁছবে। ফিরতি যাত্রায় পরের দিন পুরুলিয়া থেকে ভোর ৪টেয় ছাড়বে, বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে হাওড়ায় পৌঁছবে। ট্রেনটি সপ্তাহে ছয় দিন চলবে। শুক্রবার হাওড়া থেকে ছাড়বে চলবে না। শনিবার পুরুলিয়া থেকে ছাড়বে না।
যাত্রাপথে একাধিক স্টেশনে থামবে এই ট্রেন। হামিরহাটি, সোনামুখী, ধনসিমলা, ধগাড়িয়া, পত্রসায়ের, বেতুর, কুমরুল, ইন্দাস, শাঁকরুল, সাহসপুর রোড, বোয়াইচণ্ডী, গুইর সুরাঙ্গা। এছাড়াও কল্যার, সেহরা বাজার, গোপীনাথপুর, শ্যামসুন্দর, রায়নগর, বোকরা, মাঠনশীপুর, বেরুগ্রাম, গ্রামদাদপুর, হাবাসপুর ও মুস্তাফা চক স্টেশনে থামবে ট্রেনটি। পুরুলিয়া থেকে হাওড়া মেমু ট্রেনটি ২৮৩ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করবে। মেমু ট্রেনটি পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, মসাগ্রাম এবং হাওড়াকে তার রুটে সংযুক্ত করবে। খড়গপুর রুটের মাধ্যমে অন্যান্য ট্রেনে ভ্রমণের সময় ৪১ কিলোমিটার কমে যাবে।
হাওড়া-পুরুলিয়া মেমু ট্রেনের ভাড়া
নতুন মেমু লোকাল ট্রেনটি পুরুলিয়া থেকে ছেড়ে ভায়া বাঁকুড়া-মসাগ্রাম হয়ে কর্ড লাইনে উঠবে। তারপর কর্ড লাইন ধরে হাওড়া পৌঁছবে। পূর্ব রেল ও দক্ষিণ পূর্ব রেলের সংযোগকারী স্টেশনের ভূমিকা পালন করবে মসাগ্রাম স্টেশন। এই ট্রেন চলার জন্য বাঁকুড়ার যাত্রীদের একদিকে যেমন ট্রেন বদল করার আর প্রয়োজন হবে না। মসাগ্রাম থেকে লাইন পার হয়ে অন্য ট্রেন ধরতে হবে না। একটি ট্রেনেই পুরুলিয়া থেকে বাঁকুড়া হয়ে মসাগ্রাম হয়ে পৌঁছে যেতে পারবেন হাওড়ায়।
হাওড়া থেকে পুরুলিয়া যেতে বা পুরুলিয়া থেকে হাওড়া আসতে যাত্রীদের ৬০ টাকা লাগবে। খড়গপুর রুটে ভাড়া লাগে ৬৫ টাকা।