Advertisement

Samserganj Murder Case: সেই হরগোবিন্দ ও চন্দন দাস খুনে দোষী সাব্যস্ত ১৩, কী ঘটেছিল?

গত এপ্রিলে ওয়াকফ আন্দোলনের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদ। জাফরাবাদে খুন হয়েছিলেন বাবা হরগোবিন্দ দাস ও ছেলে চন্দন দাসকে। এই হত্যা মামলায় সোমবার ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল জঙ্গিপুর আদালত। মঙ্গলবার তাদের সাজাঘোষণা করা হবে। গত সপ্তাহে মামলার শুনানি শেষ হয়।

সামসেরগঞ্জে  হরগোবিন্দ ও চন্দন দাস খুনে দোষী সাব্যস্ত ১৩সামসেরগঞ্জে হরগোবিন্দ ও চন্দন দাস খুনে দোষী সাব্যস্ত ১৩
Aajtak Bangla
  • জঙ্গিপুর ,
  • 22 Dec 2025,
  • अपडेटेड 4:31 PM IST

গত এপ্রিলে ওয়াকফ আন্দোলনের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদ। জাফরাবাদে খুন হয়েছিলেন বাবা হরগোবিন্দ দাস ও ছেলে চন্দন দাসকে। এই হত্যা মামলায় সোমবার ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল জঙ্গিপুর আদালত।  মঙ্গলবার তাদের সাজাঘোষণা করা হবে। গত সপ্তাহে মামলার শুনানি শেষ হয়। 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১২ এপ্রিল মুর্শিদাবাদ জেলার সামসেরগঞ্জ থানার অন্তর্গত জাফরাবাদ গ্রামে নৃশংসভাবে খুন করা হয় হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর ছেলে চন্দন দাসকে। ওয়াকফ আইন সংশোধনী নিয়ে বিক্ষোভ চলাকালীন এই নৃশংস ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকেই গোটা এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ ওঠে, পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাঁদের উপর হামলা চালিয়ে প্রাণ কেড়ে নেওয়া হয়। ঘটনার পরপরই পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং একে একে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। এই মামলায় দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিপুর আদালতে শুনানি চলে। একাধিক সাক্ষী, ফরেনসিক রিপোর্ট, পুলিশি তদন্ত রিপোর্ট এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানায়। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন আদালতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য উঠে আসে, যা মামলার মোড় ঘুরিয়ে দেয় বলে মনে করা হচ্ছে।

পুলিশের তদন্তে উঠে আসে যে, অভিযুক্তরা বাড়ির দরজা ভেঙে বাবা-ছেলেকে টেনে বের করে রাস্তায় কুপিয়ে হত্যা করে। চার্জশিটে ৯৮৩ পৃষ্ঠার বিস্তারিত বিবরণে এই নৃশংসতার ছবি ফুটে ওঠে। রাজ্য পুলিশের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (এসআইটি) ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেয়, যাদের সকলকেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। দীর্ঘ শুনানির পর এদিন জঙ্গিপুর আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয় ওই ১৩ জনকে। এদিন রায় ঘোষণার দিন থাকায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল জঙ্গিপুর আদালত চত্বরে। কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় ধৃতদের নিয়ে আসা হয় আদালতে। ধৃতদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

Read more!
Advertisement
Advertisement