শান্তিনিকেতনে দোল খেলায় কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। বৃহস্পতিবার এ কথা স্পষ্ট জানালেন বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। তিনি জানান, বসন্তোৎসবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। সোনাঝুরি নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। কোনও বাধানিষেধ নেই। যদি কেউ রং খেলতে চান, তাঁরা খেলতেই পারেন। আমরা প্রকৃতি বাঁচাতে সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করেছিলাম। এদিকে, বীরভূমের পুলিশের তরফে রীতিমতো ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানানো হয়েছে, হোলি উদযাপনের জন্য কোনও সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি।
ঘটনার সূত্রপাত, বুধবার শুভেন্দু অধিকারীর একটি মন্তব্যকে ঘিরে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা মন্তব্য করেছেন,'অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলছেন, শুক্রবার বিশেষ দিন। আপনারা ১১টার মধ্যে দোল শেষ করতে হবে। স্বাধীনতার পর এমন দিন দেখিনি। এটা সাম্প্রদায়িক সরকার, মুসলিম লিগ ২'।
ওই দাবির প্রেক্ষিতে বোলপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রানা মুখোপাধ্যায় এ দিন বলেন জানান,'আমি এমন কোথাও বলেছি বলে মনে পড়ছে না। এটা সম্পূর্ণ গুজব। বিরোধী দলনেতার পদে থেকে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করা যায়! আমি অবাক হয়েছি। আমার মনে হয়, এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হয়েছে'।
সেই সঙ্গে এও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, দোলখেলার কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কথায়,'যতক্ষণ ইচ্ছে দোল খেলুন। কোনও সমস্যা হলে আমরা সাহায্য করব'। তিনি যোগ করেন, 'শান্তিনিকেতনের যে কোনও জায়গায় মানুষ দোল খেলতে পারেন। কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। কোনওরকম বেআইনি কাজ না করে মানুষ সারাক্ষণ দোল খেলতে পারেন'।
ঘটনা হল, সোনাঝুরি হাটে লাগানো একটি ব্যানারের ছবি নিয়ে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। তাতে লেখা ছিল, সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এখানে রং খেলা, গাড়ি পার্কিং করা, ভিডিওগ্রাফি ও ড্রোন ক্যামেরা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধি। তলায় ছোট করে লেখা আদেশানুসারে। বিষয়টি নিয়ে বিজেপি অভিযোগ করে, সোনাঝুরি হাটে দোল উৎসব পালনে বাধা দিচ্ছে। এ দিন বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা স্পষ্ট করলেন, বনভূমির কথা ভেবেই ওই ব্যানার। দোল খেলায় কোনও বিধিনিষেধ নেই।