Advertisement

Kankalitala TMC Leader Murder Case: কঙ্কালীতলায় মাঠ থেকে উদ্ধার তৃণমূল নেতার লাশ, দেহ উদ্ধারে বাধা

Kankalitala TMC Leader Murder Case: শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিলেন মদন লোহার। রাতভর আত্মীয়স্বজন ও পাড়ার লোকজন খোঁজাখুঁজি করলেও কোনও সন্ধান মেলেনি। রবিবার ১৪ ডিসেম্বর দুপুরে গ্রামের একটি ফাঁকা মাঠ থেকে তাঁর নিথর দেহ উদ্ধার হয়।

কঙ্কালীতলায় মাঠ থেকে উদ্ধার তৃণমূল নেতার লাশ, দেহ উদ্ধারে বাধা গ্রামবাসীদেরকঙ্কালীতলায় মাঠ থেকে উদ্ধার তৃণমূল নেতার লাশ, দেহ উদ্ধারে বাধা গ্রামবাসীদের
স্বপন কুমার মুখার্জি
  • বীরভূম,
  • 15 Dec 2025,
  • अपडेटेड 5:28 PM IST

Kankalitala TMC Leader Murder Case: শান্তিনিকেতন থানার কঙ্কালীতলা এলাকা থেকে উদ্ধার হল এক তৃণমূল নেতার দেহ। মৃতের নাম মদন লোহার (৫০)। এই ঘটনায় তাঁকে খুন করা হয়েছে বলেই অভিযোগ তুলেছে পরিবার। মৃত মদন লোহার কংকালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ধোলটেকুড়ি গ্রামের প্রাক্তন বুথ সভাপতি ছিলেন।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিলেন মদন লোহার। রাতভর আত্মীয়স্বজন ও পাড়ার লোকজন খোঁজাখুঁজি করলেও কোনও সন্ধান মেলেনি। রবিবার ১৪ ডিসেম্বর দুপুরে গ্রামের একটি ফাঁকা মাঠ থেকে তাঁর নিথর দেহ উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে। মৃতের স্ত্রী কল্যাণী লোহার কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, “খুঁজে পাচ্ছিলাম না। মানুষটাকে মেরে দিয়েছে। কেন এমন হল, কিছুই বুঝতে পারছি না।”

প্রসঙ্গত, বোলপুর শহর সংলগ্ন কংকালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েত এক সময় অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা তথা কোর কমিটির সদস্য সুদীপ্ত ঘোষের প্রভাবাধীন ছিল। পরে গরু পাচার ও আর্থিক তছরুপ মামলায় অনুব্রত মণ্ডল তিহারে বন্দি থাকার সময়, ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে যুযুধান হিসেবে পরিচিত ফায়জুল হক ওরফে কাজল শেখ জেলা পরিষদের সভাধিপতি হন। এরপর থেকেই তাঁর অনুগামীরা কংকালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নেয় বলে রাজনৈতিক মহলের দাবি।

আরও পড়ুন

এই পঞ্চায়েত এলাকার ধোলটেকুড়ি গ্রামের প্রাক্তন বুথ সভাপতি ছিলেন মদন লোহার। পরিবার সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, লটারি টিকিট কাটার নেশা ছিল তাঁর। সেই সূত্রে কিছু ধারদেনাও হয়েছিল। দেনার কারণেই নাকি রাজনৈতিক বিবাদের জেরে এই মৃত্যু, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

মৃতের মেয়ে লীলা লোহার বলেন, “আমার বাবাকে মেরে দিয়েছে। ঋণ ছিল ঠিকই, তবে কেন এমন হল জানি না। ঘুরে আসছি বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল, আর ফিরল না। কে করেছে জানি না, কিন্তু বাবাকে খুন করা হয়েছে।”

স্থানীয় তৃণমূল নেতা সপ্তম দাস বলেন, “যেভাবে মাঠে দেহ পড়ে ছিল, তাতে আমাদের ও পরিবারের সন্দেহ খুন করা হয়েছে। পুলিশ ঠিকভাবে তদন্ত করুক।”

Advertisement

খবর পেয়ে শান্তিনিকেতন থানার ওসি ডলি মণ্ডলের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দেহ উদ্ধারে প্রথমে বাধা দেন গ্রামবাসীরা। পুলিশ কুকুর এনে তদন্তের দাবি ওঠে। পরে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়।

 

রিপোর্টারঃ শান্তনু হাজরা

Read more!
Advertisement
Advertisement