Advertisement

SIR Row in Bengal: বাগনানে বিক্ষোভের মুখে মহিলা BLO, কাতর আর্জি, 'আমাকে কাজ করতেই হবে'

এদিন কলকাতা সহ সব জেলায় বিএলওরা ফর্ম বিলি করতে ফিল্ডে নেমে পড়েছেন। প্রথম দিনেই কাজ করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়লেন এক বিএলও। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ হাওড়া বিধানসভা কেন্দ্রের ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে ২৪ নম্বর বুথে।

 হাওড়ায় বিক্ষোভের মুখে BLO হাওড়ায় বিক্ষোভের মুখে BLO
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 04 Nov 2025,
  • अपडेटेड 3:34 PM IST
  • প্রথম দিনেই কাজ করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়লেন এক বিএলও
  • ওই মহিলার আই কার্ড দেখতে চান স্থানীয়দের একাংশ
  • পুলিশ হস্তক্ষেপে অবশেষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে

যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল,সেটাই সত্যি হয়ে গেল প্রথম দিনেই। SIR প্রক্রিয়ায় আজ বাড়িতে বাড়িতে এনুমারেশন ফর্ম বিলি শুরু করলেন BLO-রা। রাজ্যের সব জেলায় ফর্ম বিলি শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত খবর, হাওড়ায় ফর্ম বিলি করতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন এক BLO। রীতিমতো সবাই মিলে ঘিরে ধরলেন মহিলা বিএলও-কে। বিপদে পড়ে ওই মহিলা বললেন, 'আমি এই কাজটা করতে একেবারেই সম্মত ছিলাম না। আমি কমিশনকে বলেওছিলাম। কিন্তু নির্বাচন কমিশন বলে দিয়েছে, করতেই হবে।'

প্রথম দিনেই কাজ করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়লেন এক বিএলও

এদিন কলকাতা সহ সব জেলায় বিএলওরা ফর্ম বিলি করতে ফিল্ডে নেমে পড়েছেন। প্রথম দিনেই কাজ করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়লেন এক বিএলও। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ হাওড়া বিধানসভা কেন্দ্রের ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে ২৪ নম্বর বুথে। কমিশনের নির্দেশ মেনে অনুপমা দাস এদিন বাড়ি বাড়িতে ফর্ম বিলি করতে শুরু করেন। কিছু বাড়িতে ফর্ম বিলির পরেই তিনি স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়েন।

ওই মহিলার আই কার্ড দেখতে চান স্থানীয়দের একাংশ

অভিযোগ, স্থানীয়রা দাবি করতে থাকেন, অনুপমা দাস যে বিএলও, তার প্রমাণ কী? ওই মহিলার আই কার্ড দেখতে চান স্থানীয়দের একাংশ। কিন্তু তিনি জানান, তিনি এখনও আই কার্ড পাননি। কয়েকদিন পরে পাবেন। তবে তাঁর কাছে বিএলও হিসেবে যোগদানের অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার রয়েছে। কিন্তু তাতেও স্থানীয়রা ক্ষোভ দেখাতে থাকেন। অনুপমা দাসের কথায়, 'আই কার্ড তো আমাকে কালেক্টর অফিস থেকে কাল দিতে পারেনি। কিন্তু আমাকে কাজ করতেই হবে। ফর্ম বাড়িতে বিলি করতেই হবে। আমার হোয়াটসঅ্যাপে অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারের কপি আছে, সেই কপি সবাইকে দেখিয়েছি,কিন্তু কেউ বিশ্বাস করতে চাইছে না। আই কার্ড যদি অফিস থেকে না দেয়, আমার তো কিছু করার নেই। বাগনান খালোড় কবিগুরু শিক্ষায়তনে আমি শিক্ষিকা। কমিশন বলেছে, আই কার্ড দেবে। কিন্তু এখনও দেয়নি।'

Advertisement

পুলিশ হস্তক্ষেপে অবশেষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে

শিক্ষিকা অনুপমা দাসের দাবি, তিনি মোবাইলে কমিশনের দেওয়া নির্দেশিকা ও চিঠি দেখালেও অনেকে তা বিশ্বাস করেননি। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করায় ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জগাছা থানার পুলিশ। পুলিশ হস্তক্ষেপে অবশেষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনার পর ওই শিক্ষিকা জানিয়েছেন, প্রথমে তিনি এই দায়িত্ব নিতে চাননি, কিন্তু প্রশাসনের চাপে কাজ শুরু করতে বাধ্য হয়েছেন। এই ঘটনার পর এলাকায় প্রশাসনিক নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।


Read more!
Advertisement
Advertisement