আরজি কর হাসপাতালে তরুণী ডাক্তারের মৃত্যুতে উত্তাল গোটা রাজ্য। সেই সময় শান্তিনিকেতনে সংগীতশিল্পীর সুনিধি নায়েকের কাছ থেকে সিবিআই সেজে ৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। শুধু তাই নয়, সুনিধির অভিযোগ, তাঁকে ও তাঁর বাবাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাঁর ছবি ডার্ক ওয়েবে পোস্ট করার কথাও বলা হয়েছে বলে দাবি সংগীতশিল্পীর। ঘটনাটি ঘটেছে কবিগুরুর শান্তিনিকেতনে। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সুনিধি।
বিশ্বভারতীর প্রাক্তন ছাত্রী সুনিধি নায়েক শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লিতে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন। ওই ঠিকানা শান্তিনিকেতন থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে। দুই বাংলায় রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী হিসেবে বেশ জনপ্রিয় সুনিধি। আদতে তিনি আসানসোলের বাসিন্দা। সংগীতচর্চার জন্য় থাকেন শান্তিনিকেতনে। মঙ্গলবার হায়দারাবাদ থেকে তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। ফোনে সিবিআই পরিচয় দিয়ে সুনিধিকে বলা হয়, তিনি আর্থিক তছরূপের সঙ্গে জড়িত। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে একাধিক লেনদেনও হয়েছে। ভিডিও কল করে তাঁকে হোম অ্যারেস্ট করা হয় বলে অভিযোগ সুনিধির। দুর্বৃত্তরা তাঁকে বলে,'আপনার উপর নজরদারি চালাচ্ছে ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি। চালাকি করলে বিপদ হবে'। আসানসোলে থাকা তাঁর বাবাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। এরপর দুষ্কৃতীদের কথা মতো তাদের অ্যাকাউন্টে ৫ লক্ষ ৩৯ হাজার পাঠিয়ে দেন সুনিধি।
পরের দিনও পর্যন্ত আতঙ্কে বাড়ি থেকে বেরোতে পারেননি সুনিধি। পরে বিষয়টি তিনি বন্ধু-বান্ধবদের ফোনে জানান। তারপর শান্তিনিকেতন থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। বুধবার শান্তিনিকেতনের শ্যামবাটিতে একটি সাইবার ক্রাইম সেলের উদ্বোধন করেছে বীরভূম পুলিশ। সেখানেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সুনিধি।
সংগীতশিল্পী সুনিধি নায়েক বলেন,'আমার সঙ্গে যা ঘটেছে সেটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। হায়দারাবাদের সিবিআই পরিচয় দিয়ে ফোন করে আমাকে বলা হয় আমি নাকি আর্থিক তছরূপের সঙ্গে যুক্ত। নানান ভয় দেখিয়ে আমাকে ও আসানসোলে থাকা আমার বাবাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। আমার সব তথ্য ওরা আগেই জোগাড় করেছিল৷ আমাকে ঘরে থাকতে বলা হয়, কাউকে যাতে ফোন না করি সেটাও বলা হয়। পরে টাকা পাঠাতে বলে৷ প্রাণের ভয়ে টাকা দিই৷ পুলিশকে সব জানিয়েছি৷ এই ধরনের ঘটনা ঘটবে জীবনে ভাবিনি। আতঙ্কে আছি'।