স্কুলে সরস্বতী পুজোয় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল খোদ শাসক দলের বুথ সভাপতির বিরুদ্ধেই। ঘটনাস্থল হরিণঘাটা। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আলিমুদ্দিন মণ্ডল। বৃহস্পতিবার এনিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়,'তোষণের রাজনীতি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে হিন্দুদের উৎসবে বাধা দিচ্ছেন তৃণমূলের নেতারা'।
নদিয়ার হরিণঘাটার নগরউখড়া দাসবেরিয়া দাস গোলডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজো করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। স্কুলের টিচার ইনচার্জ কাশীরাম বর্মন পুজোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই পুজোয় বাধা দিচ্ছেন তৃণমূলের বুথ সভাপতি আলিমুদ্দিন মণ্ডল। কাশীরামকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বদলি করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজনের নজির টেনে কুম্ভ মেলার 'অব্যবস্থাপনা'র অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার জবাব দিতে গিয়েই শুভেন্দু অধিকারী বলেন,'স্কুলে সরস্বতী পুজো করতে বাধা দিচ্ছে ওঁর দলের বুথ প্রেসিডেন্ট। সেদিকে আগে নজর দিন। তারপর প্রয়াগরাজের দিকে তাকান। ওই স্কুলের হেডমাস্টার নিখোঁজ। বুথ প্রেসিডেন্ট স্কুলে ঢুকে বলেছে এটা বাবরের স্মৃতি, সরস্বতী পুজো হবে না'।
ঠিক কী হুমকি দিয়েছেন এই আলিমুদ্দিন?
অভিযুক্ত আলিমুদ্দিন মণ্ডল প্রধান শিক্ষককে বলেছেন,'কোনও দিন এই স্কুলে সরস্বতী পুজো হয়নি, আজও হবে না। আপনাকে সরাতে ২৪ ঘন্টা লাগবে না! এখানে হিন্দুদের কোনও অনুষ্ঠান হতে পারে না। আপনি কি এখানে সাধু সাজতে এসেছেন'?
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নগরউখড়া পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ। দু'পক্ষকে থানায় ডাকা হয়। সেখানেই মিটমাট হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে পুলিশের তরফে। প্রশ্ন উঠছে, কেন স্কুলের প্রধান শিক্ষককে হুমকি দেওয়ার পর পুলিশি সালিশি করতে গেল? কেন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হল না আলিমুদ্দিনের বিরুদ্ধে?
ঘটনার পর রীতিমতো আতঙ্কে ওই স্কুলের শিক্ষক থেকে পড়ুয়ারা। কাশীরাম বর্মন বলেন,'এবার তো আমার স্কুলে আসতে ভয় লাগছে'। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ জানান,'বিষয়টি দেখছেন স্থানীয় নেতৃত্ব। এটা কতটা ঠিক, সেটা দেখা উচিত'।