Advertisement

'ওয়াইসির সঙ্গে কথা...', বাংলায় AIMIM-এর সঙ্গে জোটে হুমায়ুন?

বাবরি মসজিদের শিলান্যাসের পরের দিনই বড় বার্তা দিলেন তৃণমূলের সাসপেন্ডেড বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। শনিবার মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় মসজিদের শিলান্যাস করেছেন তিনি।

মসজিদের শিলান্যাসের পরই বড় পদক্ষেপ হুমায়ুনেরমসজিদের শিলান্যাসের পরই বড় পদক্ষেপ হুমায়ুনের
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 07 Dec 2025,
  • अपडेटेड 1:47 PM IST
  • মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় মসজিদের শিলান্যাস করেছেন হুমায়ুন কবীর।
  • বিজেপি ও তৃণমূলকে পরাস্ত করতে তিনি আসাউদ্দিন ওয়াইসির কাছে জোটের প্রস্তাব দিয়েছেন।
  • বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জয় কঠিন হতে পারে তৃণমূলের জন্য।

বাবরি মসজিদের শিলান্যাসের পরের দিনই বড় বার্তা দিলেন তৃণমূলের সাসপেন্ডেড বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। শনিবার মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় মসজিদের শিলান্যাস করেছেন তিনি। এরপরেই রবিবার তাঁর বার্তা, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তিনি জোট বাঁধতে চলেছেন আসাউদ্দিন ওয়াইসির AIMIM-এর সঙ্গে।

হুমায়ুনের দাবি, রাজ্যে বিজেপি ও তৃণমূলকে পরাস্ত করতে তিনি আসাউদ্দিন ওয়াইসির কাছে জোটের প্রস্তাব দিয়েছেন। সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল বিধায়কের এই দাবি ঘিরে, রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অনেক বিশেষজ্ঞই দাবি করছেন, এমনটা হলে প্রভাব পড়তে পারে বিধানসভা নির্বাচনে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জয় কঠিন হতে পারে তৃণমূলের জন্য।

উল্লেখ্য, শনিবার বেলডাঙার বারো নম্বর জাতীয় সড়কের একেবারে ধারে বাবরি মন্দিরের শিলান্যাস করেন হুমায়ুন কবীর। শনিবার সকাল থেকেই সেখানে ছিল চোখে পড়ার মতো ভিড়। স্থানীয়রা সারি সারি ইট নিয়ে মসজিদের জন্য দান করেছেন। মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে হুমায়ুন হাইকোর্টের নির্দেশকেই হাতিয়ার করে বলেছেন, 'এই মসজিদের ইট কাউকে খুলতে দেব না। দেখি কে হিম্মত দেখায়!' 

হুমায়ুন স্পষ্ট করে বলেন, 'আমরা ধর্মের প্রতি আস্থাশীল, অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে কেউ যদি এই মসজিদের ইট খুলতে আসে... শহিদ হব তাও একটা ইটও খুলতে দেব না। মুর্শিদাবাদের মাটিতে অন্য রাজ্য থেকে এসে কেউ ইট খোলার চেষ্টা করলে হতে দেব না।'

প্রসঙ্গত এই মসজিদের নির্মাণে মোট বাজেট ৩০০ কোটি টাকা বাজেট ধরা হয়েছে। এ বিষয়ে হুমায়ুন জানান, ভারতের একজন শিল্পপতি তাঁকে ফোন করে আশ্বাস দিয়েছেন, ৮০ কোটি টাকা অনুদান দেবেন। এই অর্থের জোগান পাওয়ার পর আরও দৃঢ় হয় হুমায়ুনের হুঙ্কার, 'বাবরি মসজিদ, হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ, কারও হাত আটকাতে পারবে না।'  হাইকোর্ট স্পষ্ট করে জানিয়েছে, মসজিদ নির্মাণ অসাংবিধানিক নয়। আদালতের পর্যবেক্ষণ, 'আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব রাজ্যের প্রশাসনের। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে কর্মসূচি বন্ধ করার কোনও যুক্তি নেই।'

Advertisement

 
Read more!
Advertisement
Advertisement