এক জেলা থেকে অন্য জেলা চষে বেড়াচ্ছে বাঘিনী জিনাত। রবিবার সে ঝাড়গ্রামের জঙ্গল পেরিয়ে পুরুলিয়া জেলায় ঢুকে পড়েছে। এর আগে সে ঝাড়খণ্ডেও ঢুকেছিল। এখন জিনাত পুরুলিয়ার রাইকা পাহাড় এলাকায় রয়েছে। বন দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, উঁচু পাহাড়ে চলে যাওয়ায় জিনতকে খাঁচাবন্দি করা আরও জটিল হয়ে গেল। পুরুলিয়া জেলা বনকর্মীরা ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছেন ওই এলাকায়।
শনিবার রাতে ঝাড়গ্রামের জঙ্গিল পেরিয়ে পুরুলিয়ার দিকে যেতে শুরু করে জিনাত। প্রায় ৫০ কিলোমিটার পাহাড়ি রাস্তা চলার পরে ভোরের দিকে সে পুরুলিয়া জেলার বান্দোয়ানে পৌঁছে যায়। কলার লোকেশন ধরে তার পিছু ধাওয়া করেন বন দফতরের কর্মীরা। এখন সে রাইকা পাহাড়ের ঘন জঙ্গলে ঢুকে পড়েছে। খোলা জায়গায় এলেই জিনাতকে ধরা যাবে।
শুক্রবার ওড়িশার সিমলিপালের জঙ্গল থেকে ঝাড়খণ্ড ঘুরে ঝাড়গ্রামে ঢুকে পড়েছিল বাঘিনী জিনাত। শনিবার কিছু সময় তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে ঝাড়গ্রামেই তার খোঁজ মেলে। কাঁকড়াঝোড় ও ময়ূরঝর্ণার জঙ্গলে ছিল সে। বাঁশপাহাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জিনাতের গতিবিধি লক্ষ্য করা যায়। শনিবার গভীর রাতে ময়ূরঝর্ণার জঙ্গল পেরিয়ে পুরুলিয়া জেলার রাইকার জঙ্গলে ঢুকে পড়ে সে। এখন জিনাত রাইকা পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে।
জিনাতকে ধাওয়া করতে করতে পুরুলিয়ায় চলে এসেছেন ওড়িশার বনকর্মীরা। তাঁদের সাহায্য করছে রাজ্য বন দফতর। আজ দুপুরের মধ্যে ঝাড়গ্রাম থেকে বান্দোয়ানে আসছে সুন্দরবনের টিম। কীভাবে খাঁচা পাতা হবে, কীভাবে টোপ দেওয়া হবে, কীভাবে বাঘটিকে ঘুম পাড়ানো হবে, সেসব করবে তারা।
অক্টোবর-নভেম্বরে মহারাষ্ট্রের তাডোবা-আন্ধারী টাইগার রিজার্ভ থেকে জিনাত এবং যমুনা নামের দুটি বাঘকে সিমলিপাল টাইগার রিজার্ভে আনা হয়েছিল। জিনাতকে ২৪ নভেম্বর সিমলিপাল নর্থের কোরে ছেড়ে দেওয়ার আগে ১০ দিনের জন্য একটি ঘেরে রাখা হয়েছিল। ৯ ডিসেম্বর রাতে জিনাত পালিয়ে গিয়ে ৩৫কিলোমিটার দূরে ঝাড়খণ্ডে পৌঁছে যায়। এর পর বাংলার ঝাড়গ্রাম হয়ে পুরুলিয়ার জঙ্গলে ঢুকেছে সে।