তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের নেতা কর্মীদের মিলেমিশে কাজ করার বার্তা দিচ্ছেন। কিন্তু তার পরেও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে মাঝে মধ্যেই তৃণমূলের অন্দরে অশান্তির খবর সামনে আসছে। এবার সেই তালিকায় নয়া সংযোজন। অভিযোগ অন্তত তেমনটাই। এবার শাসক দলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার চকাই গ্রামে। ঘটনায় আহত তৃণমূলের বুথ সভাপতি নাসিম শেখ। আহত অবস্থায় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের পিয়ারবেড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চকাই গ্রামে একটি পাকা নর্দমা করা নিয়ে বিবাদ বাধে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। একটা সময় আচমকাই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। অভিযোগ ওই সময় সেকেন্দার খান নাম এক তৃণমূল কর্মী গুলি চালিয়ে দেয়। তাতেই আহত হন নাসিম শেখ। আহত অবস্থায় প্রথমে তাঁকে সোনামুখী ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়।
যদিও নিজের ছেলের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সেকেন্দার খানের মা। পালটা নসিম শেখ ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলেছেন তিনি। পালটা সেকেন্দরকেই মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর মায়ের। এদিকে এই ঘটনায় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন সোনামুখী বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামী। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় গোটা রাজ্য জুড়েই এসব হচ্ছে। সোনামুখীর ঘটনা আবারও তা প্রমাণ করল।
রিপোর্টার-নির্ভীক চৌধুরী