ভাঙড়ে তৃণমূল নেতা খুনে অবশেষে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার গ্রেফতার করা হয়েছে দলেরই এক নেতাকে। অভিযুক্তের নাম মোফাজ্জেল মোল্লা। ধৃত এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা হিসেবেই পরিচিত। মোফাজ্জেল মোল্লা ভাঙড় বিধানসভা তৃণমূল কমিটির সদস্য। এই খুনের ঘটনায় বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা রাজ্জাক খাঁর খুনের ঘটনার তিন দিনের মাথায় অবশেষে গ্রেফতার করা হয়েছে মোফাজ্জল মোল্লাকে। ওই ব্যক্তিই মাস্টারমাইন্ড বলে দাবি পুলিশের। এলাকায় এই মোফাজ্জলের মারাত্মক প্রভাব ছিল বলে জানা যাচ্ছে। তবে রেজাক্ক খাঁর দাপট বাড়তেই হিংসা করতে শুরু করে মোফাজ্জেল। ধৃতকে জেরা করে কাশীপুর থানার পুলিশ এমনটাই জানতে পেরেছে বলে খবর।
মোফাজ্জেলের কাজ চলত মূলত চালতাবেড়িয়া এলাকায়। উত্তর কাশিপুর থানার পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা দফতরের গুন্ডা দমন শাখা এবং স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চের দুঁদে অফিসাররা এই ঘটনার তদন্ত করছেন। সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন থেকেই বিবাদ চলছিল রেজ্জাকের সঙ্গে মোফাজ্জেলের । তবে মোজাজ্জেল নিজে গুলি চালায়নি, লোক ভাড়া করে খুন করে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে। অভিযুক্ত পুলিশকে জানিয়েছে, রাজনৈতিক ভাবে এলাকা দখল করার জন্য এই কাজ করেছে। রাজনৈতিকভাবে রেজ্জাক খাঁ এর উত্থান মেনে নিতে না পেরেই এই ঘটনা।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টা নাগাদ বিজয়গঞ্জ বাজারে দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক সেরে বাইক নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন রাজ্জাক খাঁ। বিজয়গঞ্জ বাজারের অদূরে ভাঙড় খালপাড়ের রাস্তায় শিরীষতলায় প্রথমে গুলি করা হয় রাজ্জাককে। তার পর কুপিয়ে খুন করা হয় তাঁকে। কিছুদিন আগে ভাঙড় বিজয়গঞ্জ বাজারের সভাপতি করা হয়েছিল রেজ্জাক খাঁ-কে। তাতেও রুষ্ট হয়েছিল মোফাজ্জেল। কারণ সেও দীর্ঘদিন থেকে এই বাজার দেখাশোনা করতো। কিন্তু, তাকে ব্যতিরেকে রেজ্জাকে দায়িত্ব দেওয়ায় তা মেনে নিতে পারেৃনি মোফাজ্জেল।