Advertisement

Humayun Kabir Viral Video: সরকারি অফিসারকে লাথি কি TMC-র হুমায়ুনই মারছেন? শুভেন্দুর পোস্ট করা VIRAL VIDEO ঘিরে প্রশ্ন

ফের নতুন করে বিতর্কে প্রাক্তন পুলিশকর্তা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী এবং অধুনা ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন। যেখানে দাবি করা হয়েছে, প্রাক্তন পুলিশকর্তা তথা ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর প্রথমে লাথি, তারপর ঘাড়ধাক্কা দিয়ে এক সরকারি আধিকারিককে ঘর থেকে বের করে দিচ্ছেন। যদিও সেই ভি়ডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আজতক বাংলা।

সরকারি আধিকারিককে পরপর লাথি হুমায়ুনের, ভিডিও পোস্টে করে দাবি শুভেন্দুরসরকারি আধিকারিককে পরপর লাথি হুমায়ুনের, ভিডিও পোস্টে করে দাবি শুভেন্দুর
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 07 Jul 2025,
  • अपडेटेड 12:28 PM IST

ফের নতুন করে বিতর্কে  প্রাক্তন পুলিশকর্তা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী এবং অধুনা ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর।  বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন। যেখানে দাবি করা হয়েছে, প্রাক্তন পুলিশকর্তা তথা ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর প্রথমে লাথি, তারপর ঘাড়ধাক্কা দিয়ে এক সরকারি আধিকারিককে ঘর থেকে বের করে দিচ্ছেন। যদিও সেই ভি়ডিয়োর সত্যতা  যাচাই করেনি আজতক বাংলা।

 এদিন শুভেন্দু অধিকারী নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি সিসিটিভি ফুটেজ পোস্ট করেন, যাতে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তি সরকারি আধিকারিকের  অফিসে ঢুকে তাঁর গায়ে হাত তুলছেন, লাথি মারছেন তারপর ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দিচ্ছেন। বিরোধী দলনেতার  অভিযোগ, ‘এই সিসিটিভি ফুটেজ সল্টলেকের পশ্চিবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য় ও বিজ্ঞান বিভাগের। গত ৩ জুলাই দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ সেখানে গিয়েছিলেন প্রাক্তন পুলিশকর্তা তথা তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে সরাসরি অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার প্রলয় চক্রবর্তীর ঘরে ঢুকে তাঁকে মারধর করেন তৃণমূল নেতা। সরকারি আধিকারিককে রীতিমতো লাথি মেরে সবশেষে তাঁরই ঘর থেকে তাড়িয়ে দেন তিনি।’

 

ইতিমধ্যেই এই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ডেবরার  বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে  শো কজ়ের চিঠি পাঠান হয়  তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের তরফে। কালীগঞ্জের বিধানসভা উপনির্বাচনের পর বিজয় মিছিল থেকে বোমার আঘাতে মৃত্যু হয়েছিল বছর দশেকের তমন্নার। সেই  নিহত তমন্নার বাড়িতে গিয়েছিলেন  ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন। নিহতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু টাকা নেননি তমন্নার মা সাবিনা বিবি। বরং দোষীদের শাস্তি চান। তিনি তৃণমূল বিধায়ককে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, টাকা নেওয়ার মতো কেউ তাঁর বাড়িতে নেই। তাঁর বাড়ি আছে, জমি আছে, টাকারও প্রয়োজন নেই। তিনি শুধু মেয়ের খুনিদের শাস্তি পেতে দেখতে চান।  দলের নেতৃত্বকে না জানিয়ে ওই ভাবে নিহত কিশোরীর বাড়িতে যাওয়ায় রুষ্ট হন তৃণমূল নেতৃত্ব। এরপরেই হুমায়ুনকে শো কজ় করা হয়েছিল। বলা হয়, কেন দলীয় নেতৃত্বকে না জানিয়ে কালীগঞ্জ গিয়েছিলেন, সে ব্যাপারে বিস্তারিত জবাব দিতে হবে হুমায়ুনকে। 

Advertisement

প্রাক্তন মন্ত্রী হুমায়ুন কবীরকে নিয়ে এর আগেও একাধিকবার  তৃণমূলকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে।  বিধানসভার অধিবেশনেও একাধিক বার নানা প্রশ্ন তুলে দলের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন হুমায়ুন। দিঘায় জগন্নাথ মন্দির গড়তে রাজ্য সরকারের কত টাকা খরচ হচ্ছে, সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলে বিধানসভার অধিবেশনে শোরগোল বাধিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। শেষে তৃণমূল পরিষদীয় দল কড়া ধমক দিয়েছিল হুমায়ুনকে। বিধানসভার অধিবেশনে তাঁর ওই প্রশ্নের কারণেই তৃণমূল পরিষদীয় দল সিদ্ধান্ত নেয়, কোনও বিধায়ককে বিধানসভার অধিবেশনে প্রশ্ন করতে হলে সেটি পরিষদীয় দলের থেকে অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে। এবার বিরোধী দলনেতার পোস্ট করা ভিডিও ঘিরে তাঁকে নিয়ে নতুন বিতর্ক তৈরি হচ্ছে। 

Read more!
Advertisement
Advertisement