Advertisement

Rajiv Banerjee meets Kalyan Banerjee: 'ক্ষমা করে দাও', কল্যাণকে জড়িয়ে ধরে বললেন 'ভাই' রাজীব, সম্পর্কের বরফ গলল!

আগামী ২০২৬ সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন আছে। তার আগে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিলন ঘটল। রবিবার শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি গেলেন তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। দেখা করলেন, জড়িয়ে ধরলেন একে অপরকে!

সম্পর্কের বরফ গলল,  কল‍্যাণের বাড়ি গিয়ে জড়িয়ে ধরলেন ‘ভাই’ রাজীবসম্পর্কের বরফ গলল, কল‍্যাণের বাড়ি গিয়ে জড়িয়ে ধরলেন ‘ভাই’ রাজীব
Aajtak Bangla
  • শ্রীরামপুর,
  • 09 Mar 2025,
  • अपडेटेड 8:03 PM IST

আগামী ২০২৬ সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন আছে। তার আগে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের  মিলন ঘটল। রবিবার শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের  বাড়ি গেলেন তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। দেখা করলেন, জড়িয়ে ধরলেন একে অপরকে! 

তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর ভোট মিটতে ফের তৃণমূলে এসেছিলেন রাজীব।  তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার পর রাজীব ও কল্যাণের সম্পর্কে ছেদ পড়ে। রাজীবের ঘর ওয়াপসি হলেও, ‘দাদা-ভাইয়ে’র সম্পর্কের দূরত্ব কমেনি। রবিবার আচমকা ‘দাদা’ কল্যাণের বাড়িতে হাজির হন ‘ভাই’ রাজীব। একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন তাঁরা। 

রাজীবের আগমনকে সৌজন্য সাক্ষাৎ জানিয়ে কল্যাণ বলেন, “রাজীব আজকে এসেছিল আমার সঙ্গে দেখা করতে। বলল দাদা ভুল হয়েছে। ক্ষমা করো।” রাজীব জানান, “দাদার অভিমান হয়েছিল। শ্রীরামপুরে এসেছিলাম, সৌজন্য সাক্ষাৎ করলাম।” রাজীবের সঙ্গে ছিলেন বিজেপি থেকে ঘরে ফেরা হুগলির প্রবীর ঘোষালও।

একুশের নির্বাচনের আগে বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন তৎকালীন ডোমজুড়ের বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলির প্রবীর ঘোষাল-সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল বিধায়ক। বিজেপির প্রার্থী হয়ে পরাজিত হয়েছিলেন রাজীব-প্রবীর দুজনেই। ভোট মিটতেই ঘর ওয়াপসি হয়েছিল রাজীবের। সম্প্রতি দলনেত্রীর হাত ধরে আবারও তৃণমূলে ফিরেছেন উত্তরপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। রাজীব তৃণমূলে ফেরায় তার বিরুদ্ধে ডোমজুড়ে তৃণমূল কর্মীরদের বিক্ষোভ পোস্টারিং হয়েছে। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক জায়গায় রাজীবের দলে ফেরা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় নিজের জায়গায় রাজীব কোণঠাসা হয়ে পড়েন। তাকে দল দায়িত্ব দিয়ে ত্রিপুরায় পাঠিয়ে দেয়। তারপর ২৪-এর লোকসভা ভোট যায়। তবু কিছুতেই কল্যাণ ও রাজীবকে এক মঞ্চে এক অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি। বলা ভালো রাজীবের সঙ্গে দূরত্ব রেখে চলছিলেন শ্রীরামপুর সাংসদ। শ্রীরামপুর লোকসভার মধ্যেই রয়েছে ডোমজুড় বিধানসভা। সেখানের বিধায়ক কল্যাণ ঘোষের অনুগামীরা রাজীবের বিরুদ্ধে সরব হন। তারপর অনেক সময় গেছে। অবশেষে দুজনের সম্পর্কের বরফ গলল।

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement