Advertisement

Voter List Controversy: একই এপিক নম্বরে জাভেদ ও রাজেশভাই! মালদা-আহমেদাবাদকে মেলাল ভোটার কার্ড

মালদা শহরের রামকৃষ্ণপল্লী এলাকার বাসিন্দা জাভেদ মিঁয়াদাদ। অন্যজন গুজরাতের আহমেদাবাদের বাসিন্দা রাজেশভাই পটেল। দুই ব্যক্তির মধ্যে দূরত্ব প্রায় দু-হাজার কিলোমিটারেরও বেশি । নামও ভিন্ন।

ভোটার তালিকায় বিতর্কভোটার তালিকায় বিতর্ক
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 02 Mar 2025,
  • अपडेटेड 1:52 PM IST
  • মালদা শহরের রামকৃষ্ণপল্লী এলাকার বাসিন্দা জাভেদ মিঁয়াদাদ।
  • অন্যজন গুজরাতের আহমেদাবাদের বাসিন্দা রাজেশভাই পটেল।
  • দুজনেরই এপিক নম্বর এক।

জাভেদ মিঁয়াদাদ হয়ে গেলেন গুজরাটের আহমেদাবাদের বাসিন্দা রাজেশভাই পটেল। একই ভোটার কার্ডে দুই রাজ্য দুই নাম! এও সম্ভব? কিন্তু এমন ঘটনা শুনে অবাক হলেও এটাই সত্যি। স্বাভাবিকভাবেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলা মালদায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক।

মালদা শহরের রামকৃষ্ণপল্লী এলাকার বাসিন্দা জাভেদ মিঁয়াদাদ। অন্যজন গুজরাতের আহমেদাবাদের বাসিন্দা রাজেশভাই পটেল। দুই ব্যক্তির মধ্যে দূরত্ব প্রায় দু-হাজার কিলোমিটারেরও বেশি । নামও ভিন্ন। কিন্তু মিল রয়েছে এক জায়গায়। দুজনেই এপিক নম্বর একই। আর তা সামনে আসতেই আতঙ্কে মালদার বাসিন্দা জাভেদ। দিন কয়েক আগে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ভোটার তালিকায় কারচুপি নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেছেন। মালদায় জেলায় ভোটার কার্ড মিলিয়ে দেখার কাজ চলছে। আর তাতেই দেখা যাচ্ছে, একই ভোটার কার্ডে বাংলার পাশাপাশি অন্য রাজ্যেরও নাম রয়েছে। 

দক্ষিণ মালদা জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ী বলেন,'দিদি ঠিক কথাটাই বলেছেন,আমরা ভারতীয় জনতা পার্টি বহুদিন ধরে বলছি। ভোটার লিস্টে ভুয়ো ভোটার আছে। কিন্তু তিনি আংশিক সত্য বলেছেন। বিষয়টি হচ্ছে অনুপ্রবেশকারীদের নামও যে আছে একটা ব্যাপক সংখ্যায়। ভিন রাজ্যের কিছু লোকের সঙ্গে সেটাও তিনি চেপে যাচ্ছেন। কী উদ্দেশ্যে চালাচ্ছেন সেটা আমরা বুঝতে পারছি না। আমাদের মালদা জেলার মত বিভিন্ন বর্ডার যে এলাকাগুলf আছে সেগুলি সীমান্ত এলাকার গ্রামগুলিতে ভোটার সংখ্যা দেখবেন হঠাৎ করে বেড়ে গেছে। বিশেষ করে এইগুলো যেসব অবৈধ অনুপ্রবেশকারী যারা তারা ভোটার লিস্টে নাম তুলে নিয়েছে। আর এগুলি হচ্ছে শাসকদলের বদান্যতায়'। 

রাজ্য তৃণমূলের সহ-সভাপতি তথা ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন,'এটা তো বাস্তব। নির্বাচন কমিশনের দেখা উচিত। ভালো করে স্ক্রুটিনি করুক। বুথ লেভেলের অফিসররা স্ক্রুটিনি করুক বাড়ি বাড়ি, যে এই লোকটা আছে কিনা'।

এদিকে, দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের এক বাসিন্দার ভোটার কার্ডের এপিক নম্বর গুজরাতের এক বাসিন্দার বলে জানা গিয়েছে। সেই ব্যক্তির নাম তাসলিম মিঁয়া। তিনি একজন সরকারি কর্মী। মালদার রেজিস্ট্রি অফিসে তাঁর পোস্টিং। বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের চার নম্বর নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। তসলিম মিঁয়া জানান,'আমি চিন্তিত এবং আতঙ্কিত। আমার ভোটার কার্ডের এপিক নম্বর একই। আমি দু''মাস আগে জানতে পারি। নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি জানিয়েছি। গুজরাটের এক ব্যক্তির এপিক নম্বর আর আমার এপিক নম্বর একই'।

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement