ঝাড়খণ্ডে প্রথম দফা বিধানসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলার পাশাপাশি রাজ্যের ৬ বিধানসভা কেন্দ্রেও চলছে ভোটগ্রহণ। এরমধ্যে রয়েছে উত্তর চব্বিশ পরগনার নৈহাটি ও হাড়োয়ায়। অতীতে রক্তক্ষয়ী নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এই দুই কেন্দ্রে সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট করাতে প্রস্তুতি নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। উত্তর ২৪ পরগনার এই দু’টি কেন্দ্রের জন্য মোট ২৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তবে অশান্তি এড়ান গেল না। নির্বাচনের মধ্যে জগদ্দলে গুলি চার ঘটনা ঘলল। চায়ের দোকানে ঢুকে গুলি চালানোর অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় এক ব্যক্তির জখম হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি মিলেছে বোমাও। জানা যাচ্ছে গুলিবিদ্ধ ওই ব্যক্তি তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি। গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ওই তৃণমূল নেতার।
ভোটের দিন ভাটপাড়ায় এই গুলি চলার ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। তৃণমূলের ১২ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতিকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। বাইকে এসে তৃণমূল নেতা অশোক সাউকে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। সে সময় বোমাবাজি হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা জগদ্দলের পালঘাট রোডে। জানা যাচ্ছে, চায়ের দোকানে ঢুকে দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। এই ঘটনায় লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় চায়ের দোকান। আহত ভাটপাড়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, অশোক সাউ ২০১৯ সালে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন। এখনও তিনি সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। জানা যাচ্ছে, এদিন সকালে কয়েক জন যুবক বাইকে করে তাঁকে অনুসরণ করছিল। পালঘাট রোড এলাকায় বাইক থেকেই এক জন যুবক তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। গুলির শব্দ শুনতে পেয়ে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু ততক্ষণে বাইকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। আহত অবস্থায় অশোককে উদ্ধার করে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কারা গুলি করল, তা নিয়েই ধন্দে আহতের পরিবার। এর পিছনে রাজনৈতিক কোনও কারণ, নাকি পুরনো কোনও শুত্রুতা রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গুলিকাণ্ডের প্রভাব যেন না পড়ে ভোটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসনকে নির্দেশ কমিশনের। এলাকায় টহলদারি চালাচ্ছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত এদিন, ভোট শুরুর আগেই নৈহাটিতে উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযোগ, নৈহাটির ৬৩ নম্বর বুথে বিজেপি এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। খবর পেয়ে ওই বুথে পৌঁছন নৈহাটির বিজেপি প্রার্থী রূপক মিত্র। তিনি গিয়েই নিজের দলের এজেন্টকে বুথে বসান। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলই আমার এজেন্টকে বুথে ঢুকতে দেয়নি। আমি এসে তাঁকে বুথে ভেতর বসাই। কমিশনের কাছে বিষয়টি জানাব।’’ যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।