Advertisement

আলু বাংলার বাইরে যাবে না! সীমানায় একের পর এক লরি আটকাচ্ছে পুলিশ

ঝাড়খণ্ডে নিয়ে যাওয়ার পথে আলু বোঝাই লরি আটকাল পুলিশ। পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের কুলটিতে ডুবুরডিহি চেকপোস্টে লরিগুলি আটকানো হয়। বুধবার রাত থেকেই ভিন রাজ্যে আলু যাওয়া আটকাতে মাঠে নেমেছে পুলিশ।

বাংলার আলুতে হাত নয়! সীমানায় একের পর এক আলু বোঝাই লরি আটকাল পুলিশ
Aajtak Bangla
  • আসানসোল,
  • 28 Nov 2024,
  • अपडेटेड 10:10 AM IST
  • রাজ্যের খুচরো বাজারে আলুর দাম বাড়া নিয়ে কয়েকদিন আগেই সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী
  • রাজ্যের জন্য আলু রেখে তবেই অন্য রাজ্যে আলু পাঠানো যাবে বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন

ঝাড়খণ্ডে নিয়ে যাওয়ার পথে আলু বোঝাই লরি আটকাল পুলিশ। পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের কুলটিতে ডুবুরডিহি চেকপোস্টে লরিগুলি আটকানো হয়। বুধবার রাত থেকেই ভিন রাজ্যে আলু যাওয়া আটকাতে মাঠে নেমেছে পুলিশ। শুধু আসানসোল নয়, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের সোনাকনিয়া, দাঁতন ইত্যাদি জায়গাতেও আলুর গাড়ি আটকানো হচ্ছে।

রাজ্যের খুচরো বাজারে আলুর দাম বাড়া নিয়ে কয়েকদিন আগেই সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে আলু মজুত নিয়ে রিপোর্টও দিতে নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, তাঁকে না জানিয়েই ভিন রাজ্যে আলু পাঠানো হচ্ছে। তাতে রাজ্যের বাজারগুলিতে আলুর দাম বেড়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে সরকারি টাস্ক ফোর্সের বৈঠক ডেকে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার নির্দেশও দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের জন্য আলু রেখে তবেই অন্য রাজ্যে আলু পাঠানো যাবে বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন। অন্তত ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত পুরনো আলু রাখারও নির্দেশ দিয়েছিলেন। মমতার নির্দেশের পরেই নবান্নে টাস্ক ফোর্সের বৈঠক হয়। সেখানে আলুর দাম কমাতে হবে বলে জানিয়েছেন দেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। আলুর দাম না কমালে বর্ডার সিল করা হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন বলে আলু ব্যবসায়ীদের দাবি।

আলু ব্যবসায়ীদের সংগঠন জানিয়েছে, এখনও প্রায় ৯ লক্ষ টন আলু হিমঘরে মজুত আছে। তাতে আগামী কয়েক মাস রাজ্যের বাজারে আলুর জোগানে সমস্যা হবে না। পুরনো আলু থেকে গেলে নতুন আলুর বিক্রি নিয়ে বরং সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও হিমঘরে সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। গোটা বিষয়টা নিয়ে মোটেই খুশি নন আলু ব্যবসায়ীরা। তাঁদের দাবি, পাইকারি বাজারে আলুর দাম বাড়েনি। খুচরো বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বেশি নিচ্ছেন। তাতেই আম জনতার সমস্যা হচ্ছে। আলু বাইরে পাঠানো বন্ধ হলে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে রাজ্যের চাষি এবং কারবারিদের।

Advertisement

প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্য উপদেষ্টা বিভাস দে বলেন, 'পুরুলিয়া, মেদিনীপুর-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার সীমান্তে আলুর গাড়ি আটকানো হচ্ছে। পুলিশ আলু যেতে দিচ্ছে না। আমরা জেলা কমিটিগুলি ও রাজ্য কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব। সিদ্ধান্ত নেোয়া হবে। পরবর্তী পদক্ষেপ নেওযা হবে। আলুর গাড়ি আটকে রাখলে আলু পচে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

TAGS:
Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement