লোকসভা ভোটের আগে বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ভূয়সী প্রশংসা শোনা গিয়েছিল তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে তিহাড় জেলে পাঠানো হলেও, মমতা কিন্তু তাঁকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরাননি। বরং বীরভূমে লোকসভা ভোট করিয়েছেন অনুব্রতর নামেই। এহেন অনুব্রত জামিন পেয়ে গিয়েছেন। সব কিছু ঠিক থাকলে আজ অর্থাত্ সোমবারই হয়তো বীরভূমে ফিরবেন কেষ্ট। প্রায় দু বছর পর।
বীরভূমে অনুব্রতর সঙ্গে সাক্ষাতের সম্ভাবনা
অন্যদিকে জেলায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘুরছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক বৈঠকও করছেন। আজ পূর্ব বর্ধমান ও আগামিকাল অর্থাত্ বীরভূমে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মমতা। এহেন পরিস্থিতে জল্পনা, বীরভূম সফরে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করতে পারেন তৃণমূলনেত্রী।
২০২২ সালের অগাস্টে গ্রেফতার অনুব্রত
২০২২ সালের ১১ অগাস্ট গরু পাচার মামলায় বোলপুরের নীচুপট্টির বাড়ি থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পরবর্তীকালে তাঁকে পাঠানো হয় দিল্লির তিহাড় জেলে। লোকসভা ভোটের আগে তিহাড়ে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দেখাও করতে গিয়েছিলেন দোলা সেন সহ তৃণমূলের একটি প্রতিনিধিদল। ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত থেকে ২০২২ সালের পুরসভা— বীরভূমের সব নির্বাচনেই ভোট করাতেন অনুব্রত। কিন্তু ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত এবং ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বীরভূমে তৃণমূলের জয় পেতে অসুবিধা হয়নি। ওই দুই ভোটের সময়েই অনুব্রত জেলবন্দি ছিলেন।
'কেষ্টকে বীরের সম্মান'
অনুব্রত গ্রেফতারের পরে মমতা বলেছিলেন, 'কেষ্টকে বীরের সম্মান দিয়ে জেল থেকে বার করে আনতে হবে। বিজেপি ভাবছে, কেষ্টকে জেলে পুরে বীরভূমের দু’টো আসন জিতে নেবে। সে গুড়ে বালি।'