Advertisement

বাঁকুড়ায় নদী পারাপারে ভরসা বিপজ্জনক বাঁশের সাঁকো, দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল যুবকের

উঁচু বাঁশের সাঁকো থেকে বাইকসহ নদীগর্ভে পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হল এক গ্রামবাসীর। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার ইন্দাস থানার ভগবতীপুর এলাকায়।

বাঁশের সাঁকো থেকে বাইকসহ নদীগর্ভে পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হল এক গ্রামবাসীরবাঁশের সাঁকো থেকে বাইকসহ নদীগর্ভে পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হল এক গ্রামবাসীর
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 14 Dec 2025,
  • अपडेटेड 6:57 PM IST
  • নড়বড়ে বিপজ্জনক বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পার হতে গিয়ে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা।
  • বাইকসহ নদীগর্ভে পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হল এক গ্রামবাসীর।
  • দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার ইন্দাস থানার ভগবতীপুর এলাকায়।

নড়বড়ে বিপজ্জনক বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পার হতে গিয়ে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। উঁচু বাঁশের সাঁকো থেকে বাইকসহ নদীগর্ভে পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হল এক গ্রামবাসীর। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার ইন্দাস থানার ভগবতীপুর এলাকায়।

দুর্ঘটনার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, ভগবতীপুর গ্রামে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তায় রয়েছে শালী নদী। সেই নদীর উপর পাকা সেতু তৈরির জন্য বারবার আবেদন নিবেদন করে এসেছেন গ্রামের বহু মানুষ। কিন্তু পাকা সেতু না হওয়ায় গ্রামের মানুষের হাতে তৈরি নড়বড়ে বিপজ্জনক বাঁশের সাঁকো দিয়েই চলে পারাপার। এদিন সেই সাঁকোতেই ঘটে গেল দুর্ঘটনা।

জানা গিয়েছে, অসুস্থ ছেলের জন্য ওষুধ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে উঁচু বাঁশের সাঁকো থেকে নদীগর্ভে পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হল গ্রামেরই বাসিন্দা সঞ্জয় ঘোষের (৩৪)। নিজের অসুস্থ শিশু সন্তানের জন্য বাইক নিয়ে সাঁকো পেরিয়ে ওষুধ আনতে রসুলপুর বাজারে গিয়েছিলেন তিনি। ওষুধ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে নড়বড়ে সাঁকো থেকে কোনওভাবে বাইক-সহ প্রায় ৩৫ ফুট নিচে নদীগর্ভে পড়ে যান সঞ্জয়। পরে নদীগর্ভে থাকা বালির মধ্যে সঞ্জয়কে ঘাড় গুঁজে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার খবর জানার পরই স্থানীয় বাসিন্দারা নদী গর্ভে ছুটে এসে দেখেন ঘটনাস্থলেই সঞ্জয়ের মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে ইন্দাস থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে। 

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা একটি পাকা সেতু তৈরির দাবি জানিয়ে আসছে। বেশ কয়েকবার আবেদনের পরে শালী নদীর ওই এলাকায় মাটি পরীক্ষার কাজও হয়। কিন্তু ওই পর্যন্তই। আজও পাকা সেতু নির্মাণের কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি। অগত্যা গ্রামের মানুষ বছরভর গভীর নদীখাত পারাপারের জন্য অস্থায়ী নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে, সেখান থেকেই পারাপার হতেন। কিন্তু এদিন সেখানেও দুর্ঘটনা ঘটে গেল।

মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় একদিকে যেমন এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে তেমনই ফের একবার শালী নদীর উপর পাকা সেতু তৈরির দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকার মানুষ। স্থানীয়দের দাবি প্রশাসন পাকা সেতু তৈরিতে উদ্যোগী হলে এমন দুর্ঘটনা ঘটত না। 

Advertisement
TAGS:
Read more!
Advertisement
Advertisement