পড়াশোনা করেও জোটেনি সরকারি চাকরি। তবুও এলাকায় বিনামূল্যে পাঠশালা চালিয়ে জীবন যুদ্ধে এগিয়ে যাচ্ছে কাঁকসার জঙ্গলমহলের ঈমানী মুর্মু। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে হার না মানা আদিবাসী যুবতীকে তাই কুর্নিশ জানাচ্ছেন সকলে। দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তিনিও একজন আদিবাসী নারী। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনিও নারী। দুই নারী শক্তিকে দেখে রাজ্য কিংবা দেশের নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে নিজের গতিতে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়তেও রয়েছে নারী শক্তির জয়জয়কার। পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসার জঙ্গলমহলের মোলডাঙা আদিবাসী পাড়া। প্রায় 100 আদিবাসী পরিবারের বসবাস রয়েছে এখানে। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া গ্রাম হলেও এলাকাবাসীরা নিজেদের মতোই সব গুছিয়ে নিয়েছে। অধিকাংশ পরিবারই দিনমজুরের কাজের সঙ্গে যুক্ত। এলাকার পড়ুয়াদের পড়ানোর মতো ক্ষমতাও নেই অনেকের। আর সেই পাঠশালার অভাব দূর করেছেন এলাকার শিক্ষিত যুবতী ঈমানী মুর্মু। সে একাধিকবার শিক্ষকের চাকরির জন্য পরীক্ষা দিয়েছেন। ছোট থেকে চাকরি করার ইচ্ছে থাকলেও সেই চাকরি আজও অধরা। কিন্তু তার মনের জোর আর অদম্য ইচ্ছেতে ভর করে এগিয়ে যাচ্ছেন প্রতিদিন। কাকসার মলানদিঘি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে রয়েছে শিক্ষকের অভাব। সেই অভাব দেখে সেই স্কুলেও সামান্য পারিশ্রমিকে পড়ুয়াদের পড়াচ্ছেন ঈমানী। স্কুল থেকে ফিরে যে সময়টুকু থাকে যেই সময়টুকু এলাকার পড়ুয়াদের বাড়িতে গিয়ে পড়ান তিনি। দিদির পাঠশালায় নিয়মিত হাজির হয় ছোট ছোট পড়ুয়ারাও। আদিবাসী পড়ুয়াদের পথ দেখাতে আদিবাসী যুবতী নারীর এই পাঠশালাকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন সকলে।