মাত্র 40 মিনিটের ধ্বংসলীলায় যেন তছনছ হয়ে আস্ত একটা গ্রাম। প্রবল ঝড়ে উপড়ে গেল বহু গাছ। ভেঙে পড়ল বহু মাটির বাড়ি। আমরা বলছি পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের। এই এলাকার চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে জানালেন বিডিও চিত্তজিৎ বসু। মঙ্গলবার, 6 জুন বিকেলের এই ঘটনার মেরামতি করতে অনেকটা সময় লাগবে বলে জানান আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া পরিষ্কারই ছিল। বিকেল চারটের পর হঠাৎ ধুলো ঝড়, এরপরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। 40 মিনিট ধরে চলে এই তাণ্ডব। দাঁতন এলাকার সীমান্তে রাজ্য সীমানা সোনাকানিয়াতে একটি বড় ক্যাম্প করা হয়েছিল। যেখানে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় অল্প আহত ও বিভিন্ন যাত্রীদের বালেশ্বর থেকে নিয়ে এসে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। যাদের বেশিরভাগই অবশ্য বাড়ি ফিরেছেন। সেই ক্যাম্প ঝড়ে উড়ে যায়। ক্যাম্পে থাকা বহু মানুষ আশ্রয় নেন অন্যত্র । বহু জায়গায় গাছ ভেঙে পড়ায় বিদ্যুতের খুঁটিও উপড়ে যায়। ফলে বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। 1 ব্লকের বিডিও চিত্তজিৎ বসু বলেন, "40 মিনিটের ঝড়ে তছনছ হয়েছে অনেকটাই। ক্ষয়ক্ষতির হিসেব শুরু হয়েছে। অনেক মাটির বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। গাছ উপড়ে পড়েছে। সোনাকানিয়া আর যে ছাউনি তৈরি করা হয়েছিল সেটাও নষ্ট হয়েছে।"