ধর্মতলায় একুশে জুলাইয়ের সভাস্থলে পৌঁছছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন তেহট্টের শহিদ জওয়ান ঝণ্টু আলি শেখ এবং পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় নিহত বিতান অধিকারীর পরিবার। তাঁদের সকলকে উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানালেন মমতা। দুই পরিবারকে ১ লক্ষ টাকা সাহায্য ঘোষণা করলেন তিনি। জানালেন, দলের সব কর্মী ১ টাকা করে দিয়েছেন তাঁদের সাহায্যার্থে।
উল্লেখ্য, পহেলগাঁও কাণ্ডে নিহত হয়েছেন তিন বাঙালি পর্যটক। তাঁদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরুলিয়ার বাসিন্দা মণীশরঞ্জন মিশ্র এবং বেহালার বাসিন্দা সমীর গুহের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে সরকারের তরফে। পাটুলির বিতান অধিকারীর বাবা-মাকে পাঁচ লক্ষ টাকা এবং তাঁর স্ত্রীকে পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। পাশাপাশি, বিতানের বাবা-মাকে মাসে ১০ হাজার টাকা পেনশন দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর বিতানের স্ত্রী ও সন্তানকে নিতে কলকাতা বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবং সেখানে বিতানের স্ত্রী সরসরি বিজেপির প্রতি তাঁর আস্থা ও বিশ্বাস প্রকাশ করেছিলেন। পরে তাঁকে নিয়ে বহু বিতর্ক শুরু হয়। তখন কুণাল ঘোষ দাবি করেছিলেন বিতানের স্ত্রী রাজনীতি করছেন। দাবি উঠছিল, বিতানের স্ত্রীর পাশাপাশি তাঁর বাবা-মাকে সরকারি সাহায্য করা উচিত।
এদিন একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে দেখা গেল বিতান অধিকারীর বাবা-মাকে। ছিলেন কাশ্মীরে শহিদ হওয়া বাঙালি জওয়ান ঝন্টু আলি শেখের পরিবারও। তাঁদের আর্থিক সাহায্য করেন মমতা। ওই সাহায্যের টাকা তৃণমূল সমর্থকদের এক টাকা করে দেওয়া অনুদান থেকে তোলা হয়েছে বলে জানান তিনি।