দুয়ারে সরকারের শিবিরে মিলছে রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার নম্বরের বায়োমেট্রিক সংযোগ করানোর সুযোগ। যতদিন দুয়ারে সরকারের কাজ হবে, ততদিন পর্যন্ত এই সুযোগ পাওয়া যাবে সেই শিবিরগুলি থেকে। পাশাপাশি আপৎকালীন প্রয়োজনে রেশন দোকান থেকেও সেই কাজ হবে।
একুশের ভোটের আগে প্রথম দুয়ারে সরকারের শিবির বসে। সেখানে অসংখ্য গ্রাহক নতুন রেশন কার্ড করানোর আবেদনের পাশাপাশি পরিবারের সদস্যের ঠিকানা বদল, কার্ডে নাম যোগ করানোর জন্যও আবেদন করা যায় কি না, তা নিয়ে বিস্তর দাবিদাওয়া রেখেছিলেন।
কিন্তু সেই সুযোগ গতবার ছিল না। রেশন কার্ডে সামান্য কিছু ভুল শুধরে দেওয়া ছাড়া দুয়ারে সরকারের শিবির থেকে রেশন কার্ডের কোনও কাজই হয়নি। কিন্তু বিস্তর দাবিদাওয়া পেয়ে এবারের শিবির থেকে রেশন কার্ডের সমস্ত আবেদন শোনা বা দরকারমতো তা জমা নেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়।
এদিকে অগাস্ট মাসের মধ্যেই রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের সংযোগ করানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। দফতর সূত্রের খবর, সেই কাজ অনেকটাই হয়ে গেছে। কিন্তু তার মধ্যেই দুয়ারে সরকারের শিবির শুরু হয়েছে। গ্রাহকদের গতবারের দাবি মেনে রেশন কার্ড সংক্রান্ত সমস্ত সমস্যার সমাধানের কাজও এই শিবিরগুলি থেকে করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আপাতত সেই শিবিরেই চলছে রেশন কার্ডের সঙ্গে আধারের বায়োমেট্রিক যোগের কাজ।
দফতর সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, যেহেতু রেশন কার্ডের সমস্ত কাজ এই শিবিরগুলি থেকেই হচ্ছে, তাই সেখানে এই আধার নম্বরের বায়োমেট্রিক যোগ করানোর সুযোগও রাখা হয়েছে গ্রাহকস্বার্থে। অধিকাংশ কাজই এই শিবিরগুলি থেকে সেরে ফেলা যাবে। তবে বায়োমেট্রিক যোগ ছাড়া রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের রেজিস্ট্রেশনের কাজ রেশন দোকান থেকেই হচ্ছে। জানানো হয়েছে, সেই কাজ সেরে দ্রুত রেশন বিলির কাজও চলবে। এই পর্বে খাদ্যসাথীর আওতায় থাকা অসংখ্য নতুন কার্ড বিলির কাজ চলছে খাদ্যদপ্তরের তরফে। ভোটের সময় কার্ডের আবেদন জমা পড়ার পরও তার ভেরিফিকেশনের কাজ আটকে ছিল।