স্লোগানটা চেনা। শুধু মোদীর জায়গায় দিদি। নির্যাস, 'অব কি বার, দিদি সরকার'। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি রওনা হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর চর্চা। তৃণমূলও এখন অনেক বেশি সক্রিয় ভার্চুয়াল দেওয়ালে। সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়া প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ছেলে অভিজিত্ মুখোপাধ্যায় থেকে শুরু করে কাকলি ঘোষ দস্তিদার একাধিক নেতানেত্রীর ট্যুইটার হ্যান্ডেলে মমতার দিল্লি যাত্রার ক্যাম্পেন।
'অব কি বার, দিদি সরকার'
২০২৪ সালে লোকসভা ভোট। কিন্তু বিধানসভা মিটতেই লোকসভার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী দলের নেতাদের একছাতায় তলায় এসে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন। এহেন মমতা আজ অর্থাত্ সোমবার দিল্লি গেলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দিল্লি সফরে তৃণমূল কংগ্রেস জাতীয় রাজনীতিতে কতটা প্রভাব ফেলবে, তা এখনই বলা না গেলেও দিদির দিল্লিযাত্রাকে জাতীয়স্তরে একটি ইস্যু করতে চেষ্টার কসুর করছে না তৃণমূল কংগ্রেস। এর পাশাপাশিই এই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল 'অব কি বার, দিদি সরকার' হ্যাশট্যাগ। শুধু তাই নয়, মমতার দিল্লি যাওয়ার আগে পেগাসাস ফোন হ্যাকিং কাণ্ডে তদন্ত কমিশন গঠনকেও ট্যুইটারে ট্রেন্ডিং করতে উঠেপড়ে লেগেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
একাধিক তৃণমূল নেতা-নেত্রীর ট্যুইট
সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং হ্যাশট্যাগ 'অব কি বার, দিদি সরকার'। একই হ্যাশট্যাগ দিয়ে যখন অনেক পোস্ট হয়, তখনই তা ট্রেন্ডিং হয়। অর্থাত্, এ বিষয়ে স্পষ্ট 'অব কি বার, দিদি সরকার' হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে অনেক পোস্ট হয়েছে। এই যেমন তৃণমূল নেতা তথা প্রণব-পুত্র অভিজিত্ মুখোপাধ্যায়ই একটি পোস্টার পোস্ট করেছেন, 'অব কি বার, দিদি সরকার' নামে। সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার ট্যুইট করলেন ফোন হ্যাকিংয়ে তদন্ত কমিশনের ঘোষণা নিয়ে।
বিধায়ক নির্মল ঘোষ ট্যুইট করলেন #BengalModel ট্যুইট। সেখানে পশ্চিমবঙ্গের নানা সরকারি প্রকল্পের বিজ্ঞাপন তুলে ধরেছেন।
মমতার দিল্লির সফরসূচি
পাঁচদিনের সফরে দিল্লিতে মোদী বিরোধী ঐক্য গড়ে তুলতে একাধিক দলের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠক করতে পারেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও। মঙ্গলবার মমতা দেখা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। বিধানসভা ভোটে বিপুল জয় নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসে এই প্রথম দিল্লি সফর মমতার।