ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে ভোট বাতিলের দাবি জানিয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস ওরফে ববি। ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে পুনরায় নির্বাচনের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার ইলেকশন পিটিশন দায়ের করেছেন অভিজিৎ।
গত লোকসভা নির্বাচনে অন্যতম নজরকাড়া কেন্দ্র ছিল ডায়মন্ড হারবার। দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই কেন্দ্রটি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড় হিসাবেই পরিচিত। ২০১৪ সাল থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই কেন্দ্রে সাংসদ তৃণমূলের 'সেনাপতি'। অভিষেককে হারাতে মরিয়া ছিল পদ্ম শিবির। লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার বহুদিন পরও এই কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল না বিজেপি। কেন ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী ঘোষণা করছে না বিজেপি, তা নিয়ে সরগরম ছিল রাজ্য রাজনীতি। অভিষেকের বিরুদ্ধে কে প্রার্থী হবেন, তা নিয়ে জল্পনায় উঠে এসেছিল বিভিন্ন নাম। শেষমেশ, এলাকার ভূমিপুত্র অভিজিৎকে ডায়মমন্ড হারবারে প্রার্থী করে বিজেপি।এবার নির্বাচনে প্রায় ৭ লক্ষের বেশি ভোটে জিতেছেন অভিষেক। অভিষেকের কাছে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হেরে যান অভিজিৎ।
অভিজিৎ অভিযোগ করেছেন যে, লোকসভা ভোটে ডায়মন্ড হারবারে বিপুল পরিমাণে রিগিং করা হয়েছে। সেই কারণেই ভোট বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
ভোটের দিন বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল অভিজিৎকে। ভোটের ফলপ্রকাশের পর পরাজয়ের কারণ জানতে এলাকায় গিয়ে দলেরই কর্মীদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন বিজেপির প্রতিনিধিরা। সেই ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল অভিজিতের। তাঁকে শোকজ করা হয়েছিল। পরে শোকজের জবাবও দেন তিনি।
বস্তুত, ২০০৯ এবং ২০১৪ সালেও ডায়মন্ড হারবার থেকে পদ্ম প্রতীকে লড়েছিলেন অভিজিৎ। তবে দু'বারই হেরে গিয়েছিলেন। ২০০৯ সালে ৩৭ হাজারের কিছুটা বেশি ভোট পেয়েছিলেন অভিজিৎ। ভোট শতাংশ ছিল ৩ শতাংশের কাছাকাছি। ২০১৪ সালে হেরে গেলেও ব্যবধান বাড়িয়েছিলেন অভিজিৎ। পেয়েছিলেন ২ লক্ষের বেশি ভোট। ভোট শতাংশ ছিল ১৫.৯২ শতাংশ।