মাঝে মাঝেই শোনা যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধ তুঙ্গে। কিছু ঘটনাই সেই জল্পনাকে উস্কে দেয়। এই যেমন, কলকাতাজুড়ে হলুদ পতাকায় ছেয়ে গেল। তাতে লেখা, 'অধিনায়ক অভিষেক'। আবার সেই পতাকার পাশেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সম্বলিত হোর্ডিং ঝুলিয়ে লেখা হয় 'সর্বাধিনায়িকা জয় হে'। নেতাজি ইন্ডোরে দলের কর্মীসভায় যেমন হোর্ডিং, পোস্টার জুড়ে শুধুই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। অভিষেকের ছবি ছিল না। এহেন আবহে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের স্পষ্ট বক্তব্য, তাঁর নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আপনার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধ রয়েছে?
দিল্লিতে তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের নানা প্রশ্নেরও উত্তর দিয়েছেন অভিষেক। তখনই তাঁকে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, আপনার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধ রয়েছে? অভিষেক জবাবে বলেন, 'দলনেত্রীর সঙ্গে বিরোধ স্রেফ কিছু লোকের কষ্টকল্পনা। এঁরাই জল্পনা তৈরি করেন, অপপ্রচার চালান। দলে কোনও বিরোধ নেই। দলের মধ্যে আমাকে, দিদিকে নিয়ে যাঁরা এ সব বলেন, তাঁরা কাল্পনিক প্রচার করেন। আমি স্ট্র্যাটেজি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লবি করব? আমার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।'
হলুদ পতাকা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই জল্পনা
কলকাতাজুড়ে ‘ফ্যাম’-এর হলুদ পতাকা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই জল্পনা তৈরি হয়। দলের সর্বোচ্চ স্তরের সমীকরণ নিয়ে আলোচনা নতুন করে উস্কে দিয়েছিল হলুদ পতাকা। কিন্তু, রাতারাতি সেই হলুদ পতাকার পাশেই মমতাকে সর্বাধিনায়িকা সম্বোধন করে হোর্ডিং লাগানো হয়। ‘ফ্যাম’-এর অন্যতম সংগঠক সৌরভ দাস বলেন, 'তৃণমূল তো বটেই, আমরাই সমাজমাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে সবচেয়ে বড় সমর্থক কমিউনিটি। আমরা দাদা আর দিদিকে পৃথক করে দেখি না। ফলে অহেতুক বিতর্ক হচ্ছে।'
নেতাজি ইন্ডোরেও দাবি করেছিলেন অভিষেক
এর আগে নেতাজি ইন্ডোরেও অভিষেক বলেছিলেন, 'অনেকে বলছে, আমি নাকি বিজেপিতে চলে যাব। আমি নাকি নতুন দল গড়ছি। আমি বলছি, আমার গলা কেটে ফেললেও ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ' স্লোগান বেরোবে।'