21 July TMC Abhishek Banerjee: ২১ জুলাই ধর্মতলার শহিদ সমাবেশে 'জয় মা কালী' ঘিরেই বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে অভিষেক বলেন, 'আগে জয় শ্রী রাম বলত মনে আছে? ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না। এখন বলছে জয় মা কালী, এখন বলছে জয় মা দুর্গা। লিখে রাখুন, ২০২৬-এর পর বিজেপিকে জয় বাংলা বলতে বাধ্য হতে হবে। এটাই বাংলার জয়।' প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দুর্গাপুরে বিজেপির জনসভায় 'জয় মা কালী, জয় মা দুর্গা' বলেই বক্তব্য শুরু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিষয়টি নজর এড়ায়নি রাজনৈতিক মহলের। এবার সেই বিষয়টি নিয়েই তুমুল কটাক্ষ করলেন অভিষেক।
এদিন মঞ্চ থেকে ২০২৬ সালের নির্বাচনের প্রস্তুতির ডাক দেন অভিষেক। বলেন, '২০২৪-এর একুশে জুলাইয়ে বলেছিলাম, ২৬-এর লড়াইয়ের জন্য তৈরি হোন। আজ আবার বলছি— প্রস্তুত হন। বিজেপির পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। আগামী ২৬-এ ওদের শূন্য করে ছাড়তে হবে।'
বাংলা নিয়ে বিজেপির অবস্থান নিয়েও সুর চড়িয়েছেন অভিষেক। বলেছেন, 'যে বিজেপি নেতারা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছিল, রবীন্দ্রনাথকে বলেছিল বামপন্থী প্রোডাক্ট, তারা বাংলা বিরোধী। আজ বাংলায় কথা বললে ওদের গায়ে জ্বালা। কারণ বাংলায় জিততে পারেনি।'
এরপরেই তিনি বলেন, 'আগে বলত জয় শ্রী রাম, এখন ঠেলায় পড়ে বলছে জয় মা দুর্গা। যাদের বিরুদ্ধে আয়কর দফতর লাগানো হয়েছিল, এখন তারাই জয় মা দুর্গা বলছে। দশ মাস পর জয় বাংলা বলতেই হবে।'
অভিষেকের অভিযোগ, বিজেপি ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে। বলেন, 'গরিব মানুষের টাকা আটকে রেখেছে। দিল্লিতে তার প্রতিবাদ করতে গেলে জনজাতির প্রতিনিধিদের চুলের মুঠি ধরে টেনে বের করা হয়েছে। আর এবার বাংলার মানুষকে বাংলাদেশি বলা হচ্ছে।'
তিনি কটাক্ষ করে বলেন, 'বাংলায় যত কথা বলব, বিজেপির গায়ে তত জ্বালা করবে। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন করছি, হিমন্ত বিশ্বশর্মার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন?'
বিজেপির ইডি-সিবিআই ব্যবহারের অভিযোগও তোলেন তিনি। বলেন, 'ইলেকশন কমিশন আর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, এই দুই ই(E) দিয়ে বাংলা দমন করতে চাইছে। আমাদের নাগরিকত্বের ছাড়পত্র প্রধানমন্ত্রী দেবে না।'
তবে বিভাজনের রাজনীতি নয়, ঐক্যের বার্তা দিয়েছেন অভিষেক। বলেছেন, 'আমরা বৈষম্যে বিশ্বাস করি না। বাংলার মাটিতে ছট পুজো হয়, ইদ হয়, বড়দিনও পালন হয়। আমরা সবাইকে নিয়েই চলি।'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আগামীদিনের লড়াইয়ের ডাক দিয়ে তিনি বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন, থাকবেন। উনি আমাদের পথনির্দেশ দেবেন। কিন্তু আমাদেরই মাঠে নেমে লড়তে হবে। আত্মতুষ্টিতে চলবে না।'