আবার ভুয়া পুলিশ
আলিপুরদুয়ারের পর এবার দিনহাটা। পুলিশ সেজে ছিনতাইয়ের অভিযোগে উত্তাল এলাকা। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই পুলিশের উপরই রোষ গিয়ে পড়েছে এলাকাবাসীর। তড়িঘড়ি তদন্তে নেমে পুলিশ বিষয়টি সামাল দেওযার চেষ্টা করছে।
এবার সিভিক ভলান্টিয়ার সাজলো দুুষ্কৃতী
সিভিক ভলান্টিয়ার সেজে এক ধান ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শনিবার এই ঘটনা ঘটেছে দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের বুড়িরহাট এলাকায়।
কী ঘটেছে এদিন
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার মোস্তাকিন হাসান নামে ওই ব্যবসায়ী যখন বাড়ি থেকে বুড়িরহাটে ধান কিনতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলেন। সে সময় কয়েক জন একটি গাড়িতে চড়ে এসে তাঁকে আটক করে। ওই ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীরা সিভিক ভলান্টিয়ারের পোশাক পরেছিল। ফলে প্রথমে কোনও আপত্তি করেননি তাঁরা। এরপর তল্লাশির নাম করে ওই ব্যবসায়ীর পকেটে থাকা ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা, মোবাইল এবং বাইকটিও হাতিয়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। এরপর দুষ্কৃতীরা মোস্তাকিনের মাথায় আঘাত করে চম্পট দেয়।
পিস্তল নিয়ে ভয় দেখানোর অভিযোগ
মোস্তাকিনের দাবি, দুষ্কৃতীদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র এবং লাঠি ছিল। এই ঘটনার পর সাহেবগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে।
আলিপুরদুয়ারে কদিন আগেই এমন ঘটনা ঘটেছে
এর আগে আলিপুরদুয়ারে পুলিশ সেজে তোলাবাজির চেষ্টা করে চার দুষ্কৃতী। খেলনা পিস্তল নিয়ে ভারত-ভুটান সীমান্ত শহর জয়গাঁ থেকে গ্রেপ্তার চার নকল পুলিশ। এক ব্যবসায়ীর নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সাতদিন পরে ওই চার নকল পুলিশকে গ্রেপ্তার করেছে জয়গাঁও থানার পুলিশ।
সেখানেও তিন লক্ষ টাকা চাওয়া হয়
ঘটনার সূত্রপাত ২৯ তারিখ রাতে। ধৃত ওই চার দুষ্কৃতী ২৯ তারিখ রাতে খেলনা পিস্তল নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী ধর্ম কুমার গুপ্তার বাড়িতে প্রবেশ করে। এবং নিজেদের জয়গাঁ থানার পুলিশ বলে পরিচয় দেয়। জয়ঁগা এলাকার ব্যবসায়ী ধর্ম কুমার গুপ্তা জানান চারজন দুষ্কৃতী রাতে বাড়িতে ঢুকে নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দেয়। ওই চারজন জানান, অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট আছে। এরপর ওই চারজন আমার বাড়ির সমস্ত ঘরে তল্লাশি শুরু করে।
এরপরে ওই চারজন তিন লাখ টাকা দাবি করেলে সন্দেহ হয়। এরপর সাহস করে ওই ব্যাবসায়ী এবং তার পরিবার নকল পুলিশদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ তাদের তদন্ত করে গ্রেফতার করে।