কেতাদুরস্ত জামা কাপড়। পরিচ্ছন্ন ব্যবহার। শিলিগুড়ি পুলিশের মাথা ব্যথার নাম এখন লেডি গ্যাং।
নানা ফিকিরে উঠছে টাকা
কখনও বৃদ্ধাশ্রম, কখনও বলছে অনাথ আশ্রমের জন্য চাঁদা দিন। দশ, কুড়ি পঁচিশ, পঞ্চাশ, একশো। যে যেমন দেবেন তাই নেবে তারা। তবে টাকা দিয়েছেন তা জানিয়ে একটু সই করে দিন। না, কোনও ফর্ম বা লিখিত ফরম্যাট নয়। সাদা কাগজে সই করে দিলেন আপনি।
টাকা না দিলে নানা ছল
প্রশ্ন না করে নির্বিবাদে সই করে দিলে আপনি ভাল। নইলে আপনাকে হুমকি দেবে পাল্টা। শ্লীলতাহানির অভিযোগে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেবে। নইলে বেগতিক দেখলে কেটে পড়বে।
অপারেশন লেডি গ্যাং
শিলিগুড়িতে এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে আমেদাবাদের লেডি গ্যাং। ধোপ দুরস্ত জামা কাপড় পরা এনজিওর নামে এই সমস্ত কিশোরীরা সব গুজরাট থেকে শিলিগুড়িতে এসে ঘাঁটি গেড়েছে বছরখানেক হল। সব মিলিয়ে জনা ১৪ যুবতী।
নানা এলাকায় চলছে অপারেশন
আপাতত মাটিগাড়ায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছে ওই যুবতী। কখনও বাগডোগরায়, কখনও ফাঁসিদেওয়ায়, কখনও হিলকার্ট রোড কিংবা মিলনপল্লিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সকাল থেকে দুটি দলে ভাগ হয়ে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে অর্থ আদায় করে যাচ্ছে দলটি।
সাদা কাগজের রহস্য
মিথ্যে কথা বলে টাকা নেওয়ার প্রতারণা এর আগেও অনেক দেখা গিয়েছে। কিন্তু সেই সঙ্গে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়ার পেছনে কি রহস্য কাজ করছে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। নির্বিবাদে টাকা দিলে সই করিয়ে এলাকা ছাড়ছেন যুবতীরা তবে কেউ যদি তার চেয়ে বেশি জিজ্ঞাসাবাদ করে তাহলে চিৎকার-চেঁচামেচিও চলছে।এর আগে বাগডোগরা ও মাটিগাড়া এলাকায় এই যুবতীরা টাকা তুলতে গিয়ে ঝামেলায় জড়িয়ে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশের মাথা ব্যথা
খোঁজখবর করে পুলিশ জানতে পেরেছে ওই যুবতীরা গুজরাটের আমেদাবাদের বাসিন্দা লকডাউন এরপর থেকেই গত বছর শিলিগুড়িতে এসে ঘাঁটি গেড়েছে এটি তাদের রুজি রোজগারের ফন্দি কি না, কিংবা তারা বড় কোনও চক্রের প্রতিনিধি হিসেবে এলাকায় ঘুরছেন কি না তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। শিলিগুড়ি পুলিশের ডিসি জোন-১ জয় টুডু জানিয়েছেন তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।