Advertisement

Ajoy River: অজয় সেতু জলের তলায়, বিচ্ছিন্ন পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূমের সড়কপথ

টানা বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গের নদীগুলিতে জল বেড়ে যাওয়ার ফলে চূড়ান্ত দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে এবং শুক্রবার বিকেলে টুমনি নদীর জলে তলিয়ে যায় বীরভূমের সঙ্গে বর্ধমানের অন্যতম যোগাযোগ মাধ্যম কাঁকসার শিবপুরের ভাসাপুল।

টুমনি নদীর জলে তলিয়ে ডুবে গেছে শিবপুরের ভাসাপুল। ভিডিও থেকে নেওয়া ছবি
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 02 Aug 2024,
  • अपडेटेड 9:40 PM IST
  • টানা বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গের নদীগুলিতে জল বেড়ে যাওয়ার ফলে চূড়ান্ত দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
  • বৃহস্পতিবার রাত থেকেই পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে এবং শুক্রবার বিকেলে টুমনি নদীর জলে তলিয়ে যায় বীরভূমের সঙ্গে বর্ধমানের অন্যতম যোগাযোগ মাধ্যম কাঁকসার শিবপুরের ভাসাপুল।

টানা বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গের নদীগুলিতে জল বেড়ে যাওয়ার ফলে চূড়ান্ত দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে এবং শুক্রবার বিকেলে টুমনি নদীর জলে তলিয়ে যায় বীরভূমের সঙ্গে বর্ধমানের অন্যতম যোগাযোগ মাধ্যম কাঁকসার শিবপুরের ভাসাপুল। একইসঙ্গে, অজয় নদীর অস্থায়ী সেতুতেও জল উঠে গেছে, ফলে পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূমের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা নারায়ণ চন্দ্র নন্দী জানান, "আমাদের চরম দুর্ভোগ। অজয়ের সেতুর সঙ্গে সংযোগকারী রাস্তা হচ্ছে, সেই রাস্তাও উড়ালপুল করা না হলে গোটা এলাকা জলমগ্ন হয়ে যাবে। অজয় আর টুমনির জল একসাথে বাড়লে যাতায়াতের দূরের কথা, নতুন করে প্লাবিত হবে ওই অঞ্চল।"

এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে স্থানীয় মানুষদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। প্রশাসনের তরফ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হচ্ছে, যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায় এবং বাসিন্দাদের দুর্ভোগ কমানো যায়।
নিম্নচাপের বৃষ্টি চলছে গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গে। বৃহস্পতিবার গোটা দিন বৃষ্টি হয়েছে৷ রাতভর বৃষ্টির পরে শুক্রবারও চলছে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি। তার মধ্যেই কিছুটা দুশ্চিন্তা বাড়ালো দুর্গাপুর ব্যারেজ। শুক্রবার বেলার পর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া শুরু হয়েছে।

দক্ষিণবঙ্গ সহ ঝাড়খণ্ডে অবিরাম ভারী বৃষ্টি চলছে। বৃষ্টিতে জল বাড়ছে অজয়, দামোদরে। বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর এবং জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া হয়েছে। এখন অবধি পাওয়া খবর অনুসারে ২০ হাজার ৬২৫ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে।

সেচ দফতর পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে। দফতর সূত্রে খবর, এই জল ছাড়ার জন্য কোনও ক্ষতির আশঙ্কা নেই দামোদর তীরবর্তী এলাকায়। ব্যারেজ থেকে বেশি পরিমাণে জল ছাড়লেই নিম্ন দামোদর উপত্যকায় প্লাবণের আশঙ্কা থাকে। আরও বৃষ্টির পরিমাণ বাড়লে কী হবে? বিহার, ঝাড়খণ্ডে নিম্নচাপের বৃষ্টি বেশি হলে জল এই রাজ্যে আসবে। বিহারের দিকে নিম্নচাপ সরে গেলেও দুশ্চিন্তা থাকবে৷ দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে আরও জল ছাড়া হবে কি? এই বিষয়ে নতুন কোনও সামনে আসেনি।

Advertisement

 

TAGS:
Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement