Advertisement

Alcohol Cannabis Addiction in West Bengal: বাংলায় কতজন গাঁজাখোর ও কতজন মাতাল? চমকে দেওয়া সংখ্যা জানাল কেন্দ্র

পশ্চিমবঙ্গে মাদকাসক্তির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি দেশের সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের কাছে জানতে চেয়েছেন, রাজ্যে গাঁজা সেবনকারীর সংখ্যা কত এবং জেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান কী। সৌমিত্র খাঁ আরও জানতে চেয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে মাদকাসক্তদের সংখ্যা জেলাভিত্তিক কত, মাদকের নেশা রুখতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং তার প্রভাব কেমন, পাশাপাশি মাদকাসক্তদের নেশামুক্তি, পুনর্বাসন এবং মাদক-বিরোধী প্রচেষ্টার বর্তমান অবস্থা কী।

মদ-গাঁজা নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য দিল কেন্দ্র।-গ্রাফিকমদ-গাঁজা নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য দিল কেন্দ্র।-গ্রাফিক
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 04 Feb 2025,
  • अपडेटेड 2:54 PM IST
  • কেন্দ্রের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে মাদকাসক্তির পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।
  • মদের নেশায় আসক্ত প্রায় ২৭ লক্ষ মানুষ, গাঁজার নেশায় ১ লক্ষ ৪৪ হাজার, আফিমের নেশায় ৩ লক্ষ ৪৩ হাজার এবং সিডেটিভের নেশায় ১ লক্ষ ১২ হাজার মানুষ রয়েছেন।

পশ্চিমবঙ্গে মাদকাসক্তির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি দেশের সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের কাছে জানতে চেয়েছেন, রাজ্যে গাঁজা সেবনকারীর সংখ্যা কত এবং জেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান কী। সৌমিত্র খাঁ আরও জানতে চেয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে মাদকাসক্তদের সংখ্যা জেলাভিত্তিক কত, মাদকের নেশা রুখতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং তার প্রভাব কেমন, পাশাপাশি মাদকাসক্তদের নেশামুক্তি, পুনর্বাসন এবং মাদক-বিরোধী প্রচেষ্টার বর্তমান অবস্থা কী।

কেন্দ্রের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে মাদকাসক্তির পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। মদের নেশায় আসক্ত প্রায় ২৭ লক্ষ মানুষ, গাঁজার নেশায় ১ লক্ষ ৪৪ হাজার, আফিমের নেশায় ৩ লক্ষ ৪৩ হাজার এবং সিডেটিভের নেশায় ১ লক্ষ ১২ হাজার মানুষ রয়েছেন। এই তথ্য থেকে স্পষ্ট, রাজ্যে মাদকাসক্তদের মধ্যে গাঁজা সেবনকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ২০১৮-১৯ সালের তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে বাজেয়াপ্ত হওয়া মাদকের মধ্যে গাঁজার পরিমাণই সবচেয়ে বেশি। সে বছর প্রায় ২৭ হাজার কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত হয়, যা অন্যান্য মাদকদ্রব্যের সম্মিলিত পরিমাণের সাড়ে ছ'গুণ। এই পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায়, রাজ্যে গাঁজার রমরমা সবচেয়ে বেশি।

সৌমিত্র খাঁর মতে, মাদকাসক্তি থেকে মানুষকে দূরে রাখতে নজরদারি প্রয়োজন। তিনি বলেন, "আমি চাইছি এই সব নেশা থেকেই মানুষকে দূরে রাখতে। তার জন্য নজরদারি প্রয়োজন। সরকারের নজরদারি কতটা রয়েছে, নজরদারিতে কী তথ্য উঠে এল, এ সব জানতে পারলে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে।" তিনি আরও উল্লেখ করেন, নিয়মিত মদ্যপানকারীদের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দোকান থেকে মদ কেনার তথ্য থাকলে মদ্যপানের প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তবে, গাঁজা বা অন্যান্য মাদক সেবনকারীদের উপর নজরদারি কীভাবে হবে, সে বিষয়ে তিনি স্পষ্ট নির্দেশনা দেননি।

বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন, "জেলায় জেলায় তৃণমূলের উন্নয়ন বাহিনীর মুখ থেকে যে ধরনের বাণী ঝর্নাধারার মতো বেরিয়ে আসছে, তা দেখে হয়তো গঞ্জিকার প্রভাবের কথা সৌমিত্রর মাথায় এসে থাকতে পারে। সেই কারণেই হয়তো ওই প্রশ্ন জমা দিয়েছেন।"

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement