Advertisement

আলিপুরদুয়ারের চা-বাগানে চিতার দেহ, চাঞ্চল্য

চা-বাগান থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি চিতাবাঘ (Leopard)-এর দেহ। বুধবার আলিপুরদুয়ার (Alipurduar)-এ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শিকার এবং পাচারের অভিযোগ (Allegation of Poaching) উঠেছে।

আলিপুরদুয়ারের চা-বাগানে উদ্ধার হওয়া চিতাবাঘের দেহ
Aajtak Bangla
  • আলিপুরদুয়ার,
  • 16 Dec 2020,
  • अपडेटेड 10:37 PM IST
  • চা-বাগান থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি চিতাবাঘের দেহ
  • ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে
  • বুধবার আলিপুরদুয়ারে

চা-বাগান থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি চিতাবাঘ (Leopard)-এর দেহ। বুধবার আলিপুরদুয়ার (Alipurduar)-এ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শিকার এবং পাচারের অভিযোগ (Allegation of Poaching) উঠেছে।

স্থানীয় এবং বন দফতার সূত্রে জানা গিয়েছে, চা-বাগানের নালা থেকে উদ্ধার  হয়েছে একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ লেপার্ডের মৃতদেহ। মৃত চিতাবাঘের দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃত প্রাণীটির দেহ থেকে লেজটি উধাও হয়ে গিছে। আর এখানেই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, শিকার করার চেষ্টা হয়েছিল। 

তবে বন দফতর এ ব্যাপারে বিশেষ কিছু বলতে পারেনি। বন দফতরের কর্তাদের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়। চিতাবাঘের মৃতদেহে আঘাতের চিহ্ন নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি বক্সা টাইগার রিজার্ভের ফিল্ড ডিরেক্টর (এফডি) শুভঙ্কর স্যানাল। প্রাণীটির দেহ থেকে লেজটি কোথায় গেল? তা নিয়েও কিছু জানাননি শুভঙ্কর স্যানাল। 

এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ডুয়ার্সের কালচিনি ব্লকের রাজাভাত চা বাগানে। 

বুধবার চা-বাগানের শ্রমিকরা চায়ের পাতা তোলার সময় চিতাবাঘের মৃতদেহটি দেখতে পান। সেটি ছিল বাগানের দুই নম্বর সেকশনে। খুব সাবধানে তাঁরা সেখানে যান। তার আগে দূর থেকে দেখছিলেন সেটি নড়াচড়া করছে কিনা। অনেকক্ষণ পর কোনও নড়নড় নেই দেখে তখন তাঁরা বুঝতে পারেন সেটি মরে গিয়েছে। তখন তারা সেটির কাছে যান। তারপর চা শ্রমিকরাই বন দফতরে খবর দেয়। 

এই ঘটনা নিয়ে প্রবল উত্তেজনা তৈরি হয়েছে এলাকায়। এই নিয়ে এক বছরে আলিপুরদুয়ার জেলায় মোট পাঁচটি চিতাবাঘের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তা খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষ, পরিবেশপ্রমী, বন্যপ্রাণ নিয়ে কাজ করেন এমন সংগঠন। তাঁদের দাবি, এই ঘটনার তদন্ত করতে হবে। আগের ঘটনাগুলিরও তদন্ত করতে হবে। প্রকৃতিপ্রেমীরা জানাচ্ছেন, এমন হলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে। এই জাতীয় ঘটনা বন্ধ করতেই হবে। দোষীদের খুঁজে বের করতে হবে এবং শাস্তি দিতে হবে। না হলে এমন ঘটনা বন্ধ করা যাবে না।

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement