Advertisement

John Barla Manoj Tigga: টিকিট না-পেয়ে 'নো ভোট টু মনোজ' চিত্‍কার জনের, টিগ্গার পাল্টা, 'দু'একদিন দেখব'

John Barla Manoj Tigga: তাঁকে প্রার্থী না করায় ক্ষোভ ছিল জনের মধ্যে। তবে তা যে এভাবে প্রকাশ্যে তিনি উগরে দেবেন এবং দলের প্রার্থীকে সরাসরি প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করতে বলবেন তা কেউ ভাবতে পারেননি।

টিকিট না-পেয়ে 'নো ভোট টু মনোজ' চিত্‍কার জনের, টিগ্গার পাল্টা, 'দু'একদিন দেখব'টিকিট না-পেয়ে 'নো ভোট টু মনোজ' চিত্‍কার জনের, টিগ্গার পাল্টা, 'দু'একদিন দেখব'
সংগ্রাম সিংহরায়
  • আলিপুরদুয়ার,
  • 07 Mar 2024,
  • अपडेटेड 2:31 PM IST

John Barla Manoj Tigga: জন বারলার প্রকাশ্য বিদ্রোহেও আপাতত স্থিথধী থাকছেন আলিপুরদুয়ারের লোকসভা প্রার্থী মনোজ টিগ্গা। যতই জন তাঁকে প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের কথা বলুন না কেন, তিনি যে সে পথে হাঁটছেন না সেটাও পরিষ্কার। বরং তিনি পাল্টা জনকে পথে আনার ব্যপারে প্রতিজ্ঞ। তিনি সে বিষয়ে কোনও রাখঢাকও করছেন না। অগ্রজ হিসেবে জনের সাহায্য চান জয়ের ব্যপারে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। 

কী বলছেন মনোজ?

বর্তমানে মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা। পেশায় শিক্ষক মনোজের এলাকায় ভালমানুষ বলে সুনাম রয়েছে। দুর্নীতিরও তেমন কোনও অভিযোগ নেই।  আজতক বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মনোজ বলেছেন, "জন বারলার সঙ্গে আমার কোনও বিরোধ নেই। অগ্রজ ও বর্তমান মন্ত্রী ও সাংসদ হিসেবে জনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাই।" কিন্তু জন তো তাঁর প্রকাশ্যে বিরোধিতা করছেন, এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, "দল সব জানে। ২-১ দিন দেখব। তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করব। জনকে সঙ্গে নিলে লাভ বা ক্ষতি হবে কি না, সেটা নিয়ে ভাবছি না। আমি দলের প্রার্থী। দল যেভাবে নির্দেশ দেবে পরবর্তী নীতি ঠিক করব।" এ বিষয়ে জন বারলাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

আরও পড়ুন

তাঁকে প্রার্থী না করায় ক্ষোভ ছিল জনের মধ্যে। তবে তা যে এভাবে প্রকাশ্যে তিনি উগরে দেবেন এবং দলের প্রার্থীকে সরাসরি প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করতে বলবেন তা কেউ ভাবতে পারেননি। বুধবার আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের মাদারিহাট রেল স্টেশনে কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসের স্টপেজ চালু হয়। সে অনুষ্ঠান উপলক্ষে আমন্ত্রিত ছিলেন বিধায়ক মনোজ টিগ্গা এবং বর্তমান সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলা। সেখানে মনোজকে দেখে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন জন বারলা। তাঁর দিকে আঙুল তুলে বার্লাকে বলতে শোনা যায়, “আমার সঙ্গে উনি ছল করেছেন। ওঁ এখানে থাকলে আমি থাকব না।” স্টেশন থেকে বেরোনোর সময় বলেন ‘নো ভোট টু মনোজ’। যদিও মনোজ এসব নিয়ে কোনও পাল্টা মন্তব্যের রাস্তায় হাঁটেননি।

Advertisement

প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের দাবি, এ দিন স্টেশনে পৌঁছে মনোজকে দেখে কার্যত তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন বার্লা। স্টেশন সুপারিন্টেন্ডেন্টের ঘরে বিজেপির ওই দুই নেতার মধ্যে বসে ছিলেন রেলের আলিপুরদুয়ারের ডিআরএম অমরজিৎ গৌতম। ঘরে আরও কয়েক জন বিজেপি নেতা-সহ রেলের আধিকারিকেরা হাজির। দরজার সামনে দাঁড়িয়ে জনতা। তখনই বার্লা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। ঘরে বার্লার সামনে বসে থাকা এক বিজেপি নেতা তাঁকে মনোজের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। কিন্তু বার্লা মনোজের দিকে আঙুল উঁচিয়ে বলেন, “আগে উনি প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করুন, তার পরে কথা হবে।” ঘটনায় কার্যত অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন ঘরে থাকা রেলের আধিকারিকেরা। কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস পৌঁছনোর আগেই স্টেশন ছেড়ে বেরিয়ে যান বার্লা।

এমনকী পবন সিংয়ের উদাহরণ দিয়ে তিনি মনোজকে পরামর্শ দেন, প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করতে। এদিন সকালে বার্লার লক্ষ্মীপাড়ার বাড়িতে গিয়েছিলেন মনোজ ও বিজেপির অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মন। তবে এক ঘণ্টার বেশি বাড়ির সামনে অপেক্ষা করলেও, বার্লা তাঁদের সঙ্গে দেখা করেননি।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement