বিধানসভা নির্বাচন আর মাত্র কয়েক মাস। তার আগেই গ্রামে গঞ্জের মানুষের মন পেতে নতুন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে রাজ্য সরকার। ভোটের আগে এবার সরকারের 'আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান' কর্মসূচি। আগামী ২ অগাস্ট থেকে এই কর্মসূচি শুরু হবে। রাজ্যের সব জেলাতেই এই কর্মসূচি চলবে ২ মাস ধরে। তিনটে করে বুথ নিয়ে একটা পাড়া হবে। গোটা বাংলায় ৮০ হাজার বুথ আছে। প্রতি বুথের জন্য ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে। নতুন এই কর্মসূচির জন্য মোট ৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
সাধারণ মানুষ কী সুবিধা পাবেন?
রাজ্যে কিছু মাস অন্তর অন্তর দুয়ারে সরকার চলে। এই কর্মসূচির মাধ্য়মে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বিধবা ভাতা, স্বাস্থ্যসাথী-সহ নানা সরকারি প্রকল্প, স্কিমে আবেদন করা যায়। এছাড়াও, জমি বাড়ির মিউটেশন-সহ এই সংক্রান্ত নানা সমস্যার সমাধান করা হয়। রাজ্যের প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় শিবির করা হয়। সেখানে সরকারি আধিকারিকরা উপস্থিত থেকে সমস্যার সমাধান করেন। এছাড়াও, পাড়ায় সমাধান নামেও একটি কর্মসূচি চালানো হয়।
এবার আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান কর্মসূচির আওতায় একেবারে পাড়ার কোনও সমস্যার সমাধান করা হবে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বুথের জন্য ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে। পাড়ার রাস্তা, জলের কল, বিদ্যুতের সমস্যা, স্কুল, আইসিডিএস সেন্টারের ছাদ বা পাঁচিল সংক্রান্ত সমস্যার মতো এরকম নানা সমস্যার সরাসরি সমাধান করা হবে। তিনটে বুথ নিয়ে একটা শিবির করা হবে। সেই শিবিরে উপস্থিত থাকবেন সরকারি আধিকারিকরা। সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাঁরা কথা বলবেন, কোন কাজ বা সমস্যার আগে সমাধান করা হবে, তা ঠিক করা হবে আলোচনা করে। ক্যাম্পে দুয়ারে সরকারের ডেস্কও থাকবে। অর্থাৎ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বিধবা ভাতা, স্বাস্থ্যসাথীর মতো নানা সরকারি প্রকল্পে আবেদন করা যাবে। এসব প্রকল্পে যুক্ত হতে কোনও সমস্যা হলে সেটাও বলা যাবে।
'আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান' কর্মসূচির ঘোষণা করে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'ছোট ছোট পাড়ায় একটা কলের দরকার, কোনও জায়গায় বিদ্যুৎ নেই, একটা পোল বসাতে হবে, এরকম ধরনের ছোট ছোট কাজের সমাধান হবে। এছাড়াও হয়তো একটা স্কুলের ছাদ দিয়ে জল পড়ছে, সেই ছাদটা করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে সিস্টেম হচ্ছে, আমাদের প্রকল্পে বহু মানুষ অংশ নিয়েছে। যদিও এটা একটা ছোট্ট প্রোগ্রাম। গ্রামের ছোট ছোট সমস্যা সরকারি অফিসাররা শুনবেন। একদিন করে প্রত্যেকটা বুথে সারাদিন অফিসাররা থাকবেন। গ্রামের সমস্যা জানাতে পারেন। আলোচনা করে সরকারি অফিসাররা ঠিক করবেন কী করা সম্ভব। কাজ হবে অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে।' পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এটাও জানিয়ে দিয়েছেন যে ডিসেম্বর মাস থেকে দুয়ারে সরকার শিবিরও শুরু হবে।