অ্যাম্বুল্যান্স চালকের বিরুদ্ধে চড়া ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ। ভাড়া মেটানোর জন্য গলার সোনার হার বন্ধক রাখতে হল যুবতীকে। এমনই অভিযোগ উঠেছে হুগলির কোন্নগরে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
হাসপাতালে বেড পেতে হন্যে হতে হচ্ছে। এক হাসপাতালে থেকে ঘুরেও মিলছে না বেড। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বেলাগাম দর হাঁকছে অ্যাম্বুল্যান্স। মানুষের সমস্য়া আরও বাড়ছে।
ফের এমনই অভিজ্ঞতার শিকার হলেন কোন্নগরের যুবতী তনুশ্রী মজুমদার। তাঁর স্বামী মেহতাব আলম আনসারিকে ভর্তি করেন হিন্দমোটরের একটি বেসরকারী হাসপাতালে। কোভিড টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ আসে তাঁর।
শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা কমতে থাকে। ফলে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, তাঁর শারীরিক অবস্থা ভাল নয়। অন্য কোনও হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
হিন্দমোটর অঞ্চলে কোনও সিসিইউ অ্যাম্বুল্য়ান্স ছিল না। তিনি খোঁজখবর করেন। তবে তা না পেয়ে দমদমের এক অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোাগ করেন তিনি।
হিন্দমোটর থেকে কলকাতার বেশ কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরতে হয়। তবে কোনও লাভ হয়নি। কোথাও ভর্তি হতে পারেননি। হাসপাতালে ভর্তি করাতে না পেরে প্রায় ৬ ঘন্টা পর আবার হিন্দমোটরে ফিরে আসতে বাধ্য হন তাঁরা।
এবার যেন আর এক সমস্য়া। ৩৩ হাজার টাকা ভাড়া গুনে নেয় অ্যাম্বুল্য়ান্স। তবে অত টাকা তখন ছিল না তাঁর কাছে। আর তা না থাকায় নিজের গলার সোনার চেন বন্ধক রাখতে হয় ওই যুবতীকে। এ ভাবে টাকা জোগাড় করে ভাড়া মেটান যুবতী।
করোনা কালে মানুষের অসহায় পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে অ্যাম্বল্যান্স মালিকেরা। এমন অভিযোগ ফের উঠল। এই ধরনের লাগাম ছাড়া দর হাঁকছে অ্যাম্বুল্য়ান্স মালিকেরা। আর রোগীর পরিবার বাধ্য হয়ে সেই বেশি দরই মেটাতে হচ্ছে।
তবে এটাই প্রথম কোনও ঘটনা নয়। এর আগে কলকাতা-সহ রাজ্যে একাধিক বার এমন ঘটনা ঘটেছে। কয়েক কিলোমিটার যেতে ভাড়া চাওয়া হয়েছে ৪ হাজার টাকা। এমন অভিযোগও উঠেছে।
ঘটনা হল করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত, মৃতের সংখ্যা। ফলে হাসপাতালে শয্য়া পেতে সমস্যা হচ্ছে।
একই অবস্থা ওষুধ, অক্সিজেন বা চিকিৎসার অন্যান্য জিনিসের ক্ষেত্রেও। হয় মিলছে না, আর না হয় কয়েক গুণ দাম চাওয়া হচ্ছে। এই অভিযোগ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তবে লাব বিশেষ হয়নি।