বছর শেষের মুখে বাংলায় পা রেখে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন অমিত শাহ। লোকসভা নির্বাচনে বাংলার ৪২টি আসনের মধ্যে অধিকাংশ আসন দখল করার তোড়জোড় শুরু করে দিলেন 'মোদীর সেনাপতি'। মঙ্গলবার বঙ্গ বিজেপিতে ১৫ জনকে নিয়ে ভোটের কমিটি তৈরি করে দিলেন শাহ। এই কমিটির নাম 'ইলেকশন ম্যানেজেমেন্ট কমিটি'। শুধু তাই নয়, এই কমিটিতে থাকছেন স্বয়ং অমিত শাহ।
সোমবার রাতে কলকাতায় এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সঙ্গে এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। মঙ্গলবার সকাল থেকেই যেন আগাম ভোট প্রচারে বেরিয়েছেন শাহ-নড্ডা। প্রথমে তাঁরা যান জোড়াসাঁকোয় একটি গুরুদ্বারে। সেখানে প্রার্থনা সেরে গাড়িতে ওঠার আগে আচমকা জনসংযোগ করেন শাহ। তার পরেই শাহের গাড়ি রওনা দেয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়ায়। কালীঘাট মন্দির ঘুরে দেখেন শাহ। মঙ্গলবার বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক রয়েছে শাহের। তার মধ্যে একটি বৈঠক থেকেই এই নতুন কমিটি গড়লেন অমিত।
বিজেপি সূত্রে খবর, লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় দলের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। নতুন কোর কমিটিতে থাকছেন স্বয়ং শাহ। সঙ্গে থাকছেন নড্ডা, বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, রাহুল সিনহা, অমিতাভ চক্রবর্তী, সতীশ ধন্দ, মঙ্গল পাণ্ডে, আশা লোকরা। এছাড়াও থাকছেন ৫ জন সাধারণ সম্পাদক। তাঁরা হলেন, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতির্ময় সিং, মহাত দীপক বর্মণ।
নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ধর্মতলায় সভা করেছিলেন শাহ। তার পরে এক মাসের মাথায় আবার বঙ্গ সফরে শাহ। এ বার তাঁর সঙ্গী বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি। সদ্য সমাপ্ত পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সাফল্যের পর লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় সফল হতে মরিয়া পদ্ম শিবির। বিজেপি সূত্রে খবর, কোন কৌশলে লোকসভা ভোটে ঝাঁপাবে পদ্ম শিবির, তা বৈঠকে বাতলে দিতে পারেন শাহ। বিজেপি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দলীয় নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করবেন শাহ-নড্ডা। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ১৮টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে রাজ্যে বিজেপির অবস্থান কোথায়? দলীয় স্তরে কী কী সমস্যা রয়েছে? কোন ইস্যু ধরে নির্বাচনে এগোবে পদ্ম শিবির? কারা প্রার্থী হবেন? এই নিয়ে আলোচনা করতে পারেন শাহ-নড্ডা। রাজ্যের লোকসভা আসনগুলি নিয়ে পর্যালোচনা করা হতে পারে বৈঠকে। আগামী লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে আরও বেশি সংখ্যক আসন পেতে মরিয়া মোদী-শাহেরা। সেই লক্ষ্যপূরণেই এ বার নতুন কমিটি গড়লেন শাহ।