ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনায় SIT গঠন করেছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই তারা তদন্তও শুরু করেছে। সোমবার সন্ধে নাগাদ হাওড়ার আমতা থানায় উপস্থিত হন SIT-এর সদস্যরা। সূত্রের খবর, রাতেই তাঁদের আনিস খানের বাড়িতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। তবে যেতে পারেননি। রাত দুটো নাগাদ কলকাতায় ফিরে আসেন তদন্তকারীরা।
এদিকে আনিসের রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় আমতা থানায় ৩ পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করল পুলিশ। সাসপেন্ড করা হয়েছে SI নির্মল দাস, কনস্টেবল জিতেন্দ্রর হেমব্রম ও হোমগার্ড কৃষ্ণনাথ বেরাকে। তাঁদের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতি, দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে তাঁদের সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, SIT গঠনের আগে এই ঘটনার তদন্তে হাওড়া পুলিশের তরফে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটির দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে ৩ জনকে সাসপেন্ড করা হয়।
কেন ফিরে এলেন তদন্তকারীরা?
আনিসের মৃত্যুর পর থেকেই তাঁর পরিবারের সদস্যরা CBI তদন্তের দাবি তুলেছেন। রাজ্য পুলিশের উপর তাঁদের আস্থা নেই বলে জানিয়েছেন। এমনকী পুলিশের হাতে আনিসের মোবাইল তুলে দিতেও অস্বীকার করেছেন আনিসের বাবা। এই পরিস্থিতিতে গতকাল নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, SIT গঠনের কথা। তিনি এও দাবি করেন, আনিসের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। যদিও সেই দাবি নাকচ করে দেয় আনিসের বাবা ও তাঁর ভাই। সঙ্গে তাঁরা জানিয়ে দেন, পুলিশই যেহেতু অভিযুক্ত তাই পুলিশের উপর তাঁদের আস্থা নেই।
আরও পড়ুন : Anis khan Mamata Banerjee : 'ও আমাকে ভোটে সাহায্য করেছিল', আনিসের মৃত্যুর তদন্তে SIT গঠন রাজ্যের
এই পরিস্থিতিতে আমতা থানায় যান SIT-এর সদস্যরা। ডিআইজি সিআইডি মিরাজ খালিদ ও ব্যারাকপুর কমিশনারেট জয়েন্ট সিপি ধ্রুবজ্যোতি দে থানায় বেশ কয়েকঘণ্টা ছিলেন। সূত্রের খবর, সেখান থেকে তাঁদের আনিসের বাড়ি যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। তবে তাঁদের কাছে খবর আসে, আনিসের বাড়ির লোকজন বাড়িতে তালা দিয়ে দিয়েছে। গ্রামের মানুষ তাঁদের বাড়ি রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে। অতএব বাধ্য হয়েই রাত দুটো নাগাদ SIT-এর সদস্যরা কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন।
সূত্রের খবর, আমতা থানায় SIT-এর তদন্তকারীদের সামনে উপস্থিত ছিলেন হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপার সৌম্য রায় ও আরও কয়েকজন আধিকারিক। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন : Anis khan Mamata Banerjee : আনিস খানের পরিবারকে নবান্নে ডাকলেন মমতা
প্রসঙ্গত গতকালই মুখ্যমন্ত্রী জানান, 'আনিস নিয়ে আমরা নিরপেক্ষ তদন্ত করব। আনিসের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো ছিল। ও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত, নির্বাচনে আমাকে অনেক সাহায্যও করেছে। আনিসের মৃত্যুর নিরপেক্ষ তদন্ত হবে। কে বা কারা এর সঙ্গে যুক্ত তা খতিয়ে দেখা হবে। দোষীদের ছাড়া হবে না।'